________________
যে এটা হওয়া উচিৎ নয়। ভিতরে তােমার ভাব কিরকম থাকে? প্রশ্নকর্তা : এইরকম হওয়া উচিৎ ছিলনা।
দাদাশ্রী ? অর্থাৎ এটা রৌদ্রধ্যান ছিল, তা ধর্মধ্যানে পরিবর্তিত হয়ে গেল। ক্রোধ হল তবু পরিণামে এল ধর্মধ্যান।
প্রশ্নকর্তা ও এরকম হওয়া উচিৎ নয়, এই ভাব ছিল, সেইজন্যে ?
দাদাশ্রী ? এর পিছনে হিংসকভাব নেই। হিংসকভাব বিনা ক্রোধ হয়ই না, কিন্তু ক্রোধের এক বিশেষ দশা আছে যে যদি নিজের ছেলে, নিজের মিত্র, নিজের স্ত্রীর উপর ক্রোধ করে তাে পূণ্য হয়। কারণ এটাই দেখা হয় যে ক্রোধ করার পিছনে হেতু কি?
প্রশ্নকর্তা ও প্রশস্ত ক্রোধ। (যার উদ্দেশ্য অন্যের লাভ আছে) দাদাশ্রী ঃ অপ্রশস্ত ক্রোধকে খারাপ বলে।
অর্থাৎ এই ক্রোধের-ও এত ভাগ আছে। অন্যদিকে, পয়সারজন্যে ছেলেকে ভাল-মন্দ বলে যে তুই ব্যবসায় ঠিকমতাে মন দিচ্ছিস না, সেই ক্রোধ আলাদা। সন্তানকে সংশােধন করার জন্যে, চুরি করছে বা অন্য কিছু উল্টোপাল্টা কাজ করছে, তার জন্যে ছেলেকে বকাবকি করে, ক্রোধ করে তাে তার ফল ভগবান পূণ্য বলেছেন। ভগবান কত বিবেচক!
ক্রোধ দূর করাে এইভাবে প্রশ্নকর্তা : আমরা ক্ৰোধ করি কার উপর? বিশেষ করে অফিসে সেক্রেটারির উপর ক্রোধ করি না আর হাসপাতালে নার্সের উপর করি কিন্তু ঘরে স্ত্রীর উপর আমরা ক্ৰোধ করি।
দাদাশ্রী ও এইজন্যেই তাে যখন একশােজন বসে আছে আর শুনছে। তখন সবাইকে বলি যে অফিসে বস্ (মালিক) ধমকালে বা কেউ বকাবকি করলে সেই সব ক্রোধ ঘরে বসে স্ত্রীর উপর চাপিয়ে দেয় লােকে। এইজন্যে আমাকে বলতে হয় যে, আরে! স্ত্রীকে কেন ধমকাচ্ছাে, বেচারীকে! অকারণে স্ত্রীকে বকাবকি করছাে! বাইরে কেউ ধমকালে তার সাথে লড়াই করাে না। এখানে কেন বেচারীর সাথে লড়াই করছাে?
[ ২৩ ]