________________
মনে করে যে, আমি জানি’ তবু কেন হয়ে যায়? এখন জানি একথা কে বলেছে? সেটা জানে না। কে জানে’ তা জানে না, আর এটাই খুঁজতে হবে। যে জানে তাকে খুঁজে বার করাে তাহলে সব চলবে। জানেই না, জানা তাে তাকেই বলে যে চলেই যায়, দাঁড়িয়ে থাকে না।
সম্যক উপায় একবার জেনে নাও প্রশ্নকর্তা ঃ এটা জানার পরও ক্রোধ হয়ে যায়, তার উপায় কি?
দাদাশ্রী ঃ কে জানে ? জানার পরে তাে ক্রোধ হবেই না। ক্রোধ হয়। মানে জানে-ই না, শুধু অহংকার করে যে “আমি জানি।
প্রশ্নকর্তা ও ক্রোধ হয়ে যাওয়ার পর খেয়াল আসে যে আমার ক্রোধ করা উচিৎ হয়নি।
দাদাশ্রী ? না, কিন্তু জানার পরে ক্রোধ হয় না। যদি এখানে দুটো বােতল রাখা হয় আর কেউ বুঝিয়ে দেয় যে একটা বােতলে ওষুধ আর অন্য বােতলে পয়জন (বিষ) আছে। দুটো একই রকম দেখতে, কিন্তু এতে ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে তাে বুঝতে হবে এ জানতােই না। ভুল-ত্রুটি না হলে বলতে পারি যে জানতাে, কিন্তু ভুলত্রুটি হয়েছে মানে একথা তাে পরিষ্কার হয়ে গেল যে ও জানতাে না। সেইরকমই যখন ক্রোধ হয় তখন কিছু জানে না অথচ জানার অহংকার নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আলােতে কখনও ঠোক্কর লাগে কি? এইজন্যে যতক্ষণ ঠোক্কর লাগে ততক্ষণ জানেই নি। এ তাে অন্ধকারকেই আলাে বলে, সেটাই আমাদের ভুল। অতএব একবার সৎসঙ্গে বসে ‘জানাে’, তারপর ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ সব চলে যাবে।
প্রশ্নকর্তা ও কিন্তু ক্রোধ তাে সবার হয়েই যায়, না! দাদাশ্রী ? এই ভাইকে জিজ্ঞাসা করাে, ও তাে অস্বীকার করছে। প্রশ্নকর্তা ও সৎসঙ্গে আসার পর তাে ক্রোধ হয় না!
দাদাশ্রী ঃ তাই? উনি কি ওষুধ নিয়েছেন ? দ্বেষ-এর মূল শেষ হয়ে যায়, এরকম ওষুধ নিয়েছিল।
[১৪]