________________
পার্থক্য, ক্রোধ আর গুত্সায় (রাগ) প্রশ্নকর্তা ও দাদাজী, ক্রোধ আর গুসা (রাগ), এর মধ্যে পার্থক্য কি?
দাদাশ্রী ও ক্রোধ তাকেই বলে যা অহংকারের সাথে হয়। রাগ আর অহংকার দুই-ই একসাথে থাকলে ক্রোধ বলে। আর ছেলের প্রতি বাবা রাগ করে, তাকে ক্রোধ বলে না। ওই ক্রোধে অহংকার থাকে না তাই তাকে রাগ বলে। তখন ভগবান বলেন, এ রাগ করছে কিন্তু তবুও ওর পুণ্য জমা করাে। তখন যদি বলা হয়, এ রাগ করছে, তবুও? তখন বলবেন, ক্রোধ করলে পাপ, রাগে পাপ নেই। ক্রোধে অহংকার মিশে। থাকে আর যখন তােমার রাগ হয় তখন ভিতরে খারাপ লাগে না কি?
ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ দু’রকমের হয়। | এক ধরনের ক্রোধ যার মােড় ফেরানাে সম্ভব-নিবার্য। কারাের উপর ক্রোধ হলে ভিতরে ভিতরেই তার মােড় ফিরিয়ে দেওয়া যায় আর শান্ত করে দেওয়া যায়, এইভাবে মােড় ফিরিয়ে দেওয়া যায় এরকম ক্রোধ। এই স্টেজ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলে ব্যবহার খুব সুন্দর হয়ে যায় ! | দ্বিতীয় প্রকার ক্রোধ হল যার মােড় ফেরানাে যায় না-অনিবার্য। অনেক চেষ্টা করলেও পটকা না ফেটে ছাড়বে না! ওর মােড় ফেরানাে যায় না এরকম, অনিবার্য ক্রোধ। এমন ক্রোধ নিজেরও ক্ষতি করে আর অন্যের ক্ষতি করে।
ভগবান সাধুদের জন্যে আর চরিত্রবান লােকেদের জন্য কতদুর পর্যন্ত ক্রোধকে মেনে নিয়েছেন? যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যের দুঃখদায়ী না হয় ততটা ক্রোধ ভগবান মেনে নিয়েছেন। আমার ক্রোধ শুধু আমাকেই দুঃখ দেয় কিন্তু অন্য কারাের দুঃখদায়ী হয় না ততটা ক্রোধ মেনে নিয়েছেন।
যে জানে তাঁকে চেনাে প্রশ্নকর্তা : আমরা সবাই জানি যে ক্রোধ করা ভুল, কিন্তু তবুও...
দাদাশ্রী ও ব্যাপার এই, যে ক্ৰোধী সে জানে না, লােভী যে সে জানে না, যে মানী সেও জানে না, যে জানে সে আলাদাই। আর এই সব লােকেরা
[ ১৩ ]