________________
সমস্তই নির্বলতা। যে বলবান তার ক্রোধ করার প্রয়োজন কোথায় ? এ তো ক্রোধের যে উত্তাপ আছে সেই উত্তাপ দিয়ে সামনের জনকে বশ করতে যায়, কিন্তু যার ক্রোধ নেই তার কাছেও তো কিছু থাকবে কি না? তার কাছে ‘শীল’ নামের যে চরিত্র আছে তাতে জানোয়ার-ও বশীভূত হয়। বাঘ, সিংহ, সমস্ত শত্রু সব বশে এসে যায় !
ক্রোধী তো অবলা-ই
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু দাদাজী, যদি কোন ব্যক্তি আমার সামনে গরম হয়ে যায় তখন কি করা উচিৎ?
দাদাশ্রী : গরম তো হয়েই যাবে! ওর হাতে মোটেই নেই। ভিতরের যন্ত্রপাতি ওর বশে নেই। এ তো যেমন-তেমন করে ভিতরের মেশিনারী চলতে থাকে। যদি নিজের বশে হতো তাহলে গরম হতেই দিত না! একটুও গরম হওয়া মানে গাধা হয়ে যাওয়া, মানুষ হয়েও গাধা! কিন্তু এরকম তো কেউ করবেই না। যেখানে নিজের বশে নেই সেখানে আর কি হবে?
এই সংসারে কখনও ক্রোধ হওয়ার কোন কারনই নেই। কেউ যদি বলে যে, ‘এই ছেলেটা আমার কথা শোনে না।' তাহলেও ক্রোধ হওয়ার কোন কারণই নেই। ওখানে তোমাকে শান্ত ভাবে কাজ করে নিতে হবে। এ তো তুমিই নির্বল সেইজন্যে গরম হয়ে যাও। আর গরম হয়ে যাওয়াকে ভয়ঙ্কর নির্বলতা বলে। মানে, যখন নির্বলতা অনেক বেশী থাকে তখনই গরম হয়ে যায়। অতএব যে গরম হয়ে যায় তার উপর তো দয়া হওয়া উচিৎ যে এই বেচারার ক্রোধের উপর একদম নিয়ন্ত্রন নেই। যার নিজের স্বভাবের উপর কন্ট্রোল নেই, তার উপর দয়া করাই উচিৎ।
গরম হওয়া মানে কি? প্রথমে নিজে জ্বলা আর পরে সামনের জনকে জ্বালানো। এই দেশলাই ঘষলে প্রথমে নিজে ভড়-ভড় করে জ্বলে আর তারপরে সামনের জনকে জ্বালায়। অর্থাৎ গরম হওয়া নিজের অধীন হলে কেউ গরম হতো-ই না! জ্বলন কার ভাল লাগে? যদি কেউ এরকম বলে যে, ‘সংসারে কখনও-কখনও ক্রোধ করা দরকার হয়ে পড়ে', তাহলে আমি
[ 7 ]