________________
বলবাে না, এরকম কোন কারণ নেই যে যেখানে ক্রোধ করা দরকার। ক্রোধ তাে নির্বলতা, সেইজন্যে হয়ে যায়। সেইজন্যে ভগবান ক্রোধীকে ‘অবলা বলেছেন। পুরুষ কাকে বলবে? ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ প্রভৃতি নির্বলতা যার মধ্যে নেই, তাকে ভগবান ‘পুরুষ’ বলেছেন। অর্থাৎ এই যে সমস্ত পুরুষ নজরে আসে তাদেরকেও ‘অবলা বলেছেন, কিন্তু এদের লজ্জা হয় না; এ তাে ভালাে, নয়তাে ‘অবলা’ বললে লজ্জিত হয়ে যেত না! কিন্তু এদের তাে কোন বােধ-ই নেই। কতটা বােধ আছে? স্নান করার জল রাখলে স্নান করে নেবে। খাওয়া, শােয়া, স্নান করা এই সমস্ত বােধ আছে, কিন্তু অন্য কোন কিছুর বােধ নেই। মনুষ্যত্বের বিশেষ বােধ যাকে বলা হয়, যে ইনি ‘ভদ্রলােক বলে,। পুরুষ’; এরকম ভদ্রলােক লােকে দেখতে পায় তার বােধ নেই।
ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ, এরা তাে প্রকট দুর্বলতা আর খুব ক্রোধ হয়ে গেলে নিজের হাত-পা এভাবে কাপতে দেখ নি ?
প্রশ্নকর্তা ও শরীর-ও বারণ করে যে তােমার ক্রোধ করা উচিৎ নয়।
দাদাশ্রী ঃ হ্যা, শরীর-ও বারণ করে যে ‘এ শােভা দেয় না। অর্থাৎ ক্রোধ কত বড় দুর্বলতা বলা যায়! এইজন্য তােমার ক্রোধ করা উচিৎ নয়।
প্রভাব পড়ে, দুর্বলতা না থাকলে প্রশ্নকর্তা ঃ কোন লােক একটা ছােট বাচ্চাকে খুব মারছে আর আমি সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছি, তখন ওকে এরকম করতে বারণ করলে ও যদি না শােনে তাে শেষে ওকে ধমক দিয়ে বা ক্রোধ করে বাধা দেওয়া উচিৎ কি না? | দাদাশ্রী ও ক্রোধ করলেও ও না মেরে থাকবে না। আরে, তােমাকেও মারবে! তবুও তুমি ওর উপর ক্রোধ কেন করছাে? ওকে শান্তভাবে বলাে, ব্যবহারিক কথাবার্তা বলাে। নয়তাে ওর উপর ক্রোধ করলে সেটা তাে উইনেস্!
প্রশ্নকর্তা ঃ তাহলে বাচ্চাকে মারতে দেব? দাদাশ্রী ? না, ওখানে গিয়ে তুমি বলাে যে, ‘ভাই, তুমি এরকম কেন
| [৮]