________________
অসংস্কৃত
চতুর্থ অধ্যয়ন
অসংখয়ং জীবিয় মা পমায়, জবােবণীয় হু নখি তাণং।।
এবং বিয়াণাহি জণে পমত্তে, কন্ন, বিহিংসা অজয়া গহিংতি ॥১॥ (হে মনুষ্য ) জীবিয় (জীবিত= জীবন, আয়ু) অসংখয়ং ( অসংস্কৃত=জীর্ণ হইলে যাহার সংস্কার সাধন করিতে পারা যায় না, যাহা পরিবর্ধন করিতে বা ভগ্ন হইলে জোড়া লাগাইতে পারা যায় না) (অতএব ) মা পমায়এ (প্রমাদ করিও না) হু ( নিশ্চয়ই ) জবােবণীয় (জবােপনীত=জরাগ্রস্ত, মৃত্যুমুখে আগত) (ব্যক্তির) তাণং (ত্রাণ =শরণ ) নথি (নাই) এবং (এইরূপ ) বিয়াণাহি (সম্যক্প্রকারে জ্ঞাত হও) ( যে ) পমত্তে (প্রমত্ত = প্রমাদ পরায়ণ ) বিহিংসা (বিহিংস্র=অত্যন্ত হিংস্র স্বভাব বিশিষ্ট) অজয়া (অষত=অসংযত, পাপকার্যে আসক্ত ) জণে (জন=ব্যক্তি) কংঃ ( কাহার) (শরণ) গহিংতি ( গ্রহণ করিবে ) ॥১॥
হে মনুষ, আয়ু অসংস্কৃত অর্থাৎ ইহা পরিবর্ধন করিতে বা জীর্ণ হইলে সংস্কার করিতে পারা যায় না অতএব প্রমাদ করিও না। জরাগ্রস্ত, মৃত্যুর সমীপে আগত ব্যক্তির নিশ্চয়ই রক্ষা নাই। ইহা সম্যক্ রূপে অবগত হও যে প্রমাদগ্রস্ত, হিংসাপরায়ণ ও পাপাসক্ত ব্যক্তি কাহার শরণ গ্রহণ করিবে অর্থাৎ কে তাহাকে জরামরণ হইতে রক্ষা করিবে? ॥১॥
১। “অসংস্কৃতং যত্নশতৈরপ্যসততা বৰ্দয়িতুং ত্রুটিত বা কামুকবৎ সন্ধানং কৰ্ত্ত মশকত্বাৎ জীবিতং হি কেনাপি প্রকারেণ সন্ধাতুং ন শকত ইত্যর্থঃ” টীকা ১। যাহা সংস্কার অর্থাৎ মেরামত করা যায় না। | ২। যাহা বিস্মৃতি আনয়ন করিয়া কর্তব্যাকর্তব্যের প্রতি অনবধান করিয়া দেয় তাহাকে প্রমাদ বলে। এইরূপ প্রমাদের দ্বারা অভিভূত ব্যক্তিকে প্রমত্ত কহে। প্রমাদ শব্দের দ্বারা আত্মস্থলন অর্থাৎ আত্মার বিকাশের মার্গ হইতে পতন বুঝায়। প্রমাদ পাঁচ প্রকার যথা। ১। মদ অর্থাৎ অভিমান বা অহঙ্কার ২। বিষয় অর্থাৎ ইন্দ্রিয়জনিত কামভােগে আসক্তি । ৩। ক্রোধ, কপটতা, রাগ ও দ্বেষ ; ৪। পরনিন্দা ৫। বিকথা অর্থাৎ বিচারবিহীন প্রলাপ। (সন্তবাল কৃত উত্তরাধ্যয়ন সূত্র পৃঃ ৬৫-৬৬, গুজরাটী সংস্করণ)
৩। “অজিয়া’ টীকা ১। “অজিতা অজিতেন্দ্রিয়াঃ* টীকা ১।