________________
২৭৮
উত্তরাধ্যয়ন সূত্র মিএ (মৃগসমূহকে) ছুভিত্তা ( তাড়াইয়া) মিএ ( মৃগ) ভীএ ( ভীত (ও) সংতে (শ্রান্ত ) ( হইলে ) [ অথবা ভিএ সংতে ( ভীত হইলে ) তথ (সেই মৃগগণের মধ্যে ) মিএ (মিতকে =পরিমিতকে, কয়েকটীকে ) ] তথ (সে স্থলে) রসমুচ্ছি ( রসমূৰ্ছিত = মৃগয়ার রসে আসক্ত হইয়া অথবা মৃগমাংসের লােভে গৃদ্ধ হইয়া) বহেই (বধ করিল ) ॥২৩।
| অশ্বারােহী, গজারােহী, রথারােহী ও বৃহং পদাতিক সৈন্যের দ্বারা পরিবৃত হইয়া কেসর নামক কাস্পীল্য নগরের উদ্যানে অশ্বারূঢ় রাজা মৃগগণকে তাড়াইতে তাড়াইতে সেই মৃগগণের মধ্যে ভীত ও শ্রান্ত মৃগকে মৃগয়াসক্ত হইয়া সেইস্থলে বধ করিল ॥২॥৩।
অহ কেসরংমি উজ্জাণে, অণগারে তবােধণে ।
সজ্জায়জ্বাণসংজুত্তে, ধম্মজ্বাণং ঝিয়ায়ই ॥৪॥ অহ (অথ =এদিকে) কেসংরমি উজ্জাণে (কেসর উদ্যানে) অণগারে ( অনগার = গৃহত্যাগী ) তপােধণে (তপােধন=তপস্বী মুনি) সজ্জ্বায়ত্মাণসংজুত্তে (স্বাধ্যায় ও ধ্যানসংযুক্ত ) ( হইয়া) ধম্মত্মাণং (ধর্মধ্যান) ঝিয়ায়ই ( ধ্যান করিতেছিলেন ) |৪||
এদিকে উক্ত কেসরনামক উদ্যানে এবং গৃহত্যাগী তপস্বী স্বাধ্যায় ও ধ্যান সংযুক্ত হইয়া ধর্মধ্যান ধ্যান করিতেছিলেন ॥৪॥
১। সজ্জ্বায়ঝাণজুত্তো’ টীক! ৩। | ২। ধ্যান চারি প্রকার যথা— আর্ত, রৌদ্র, ধর্ম ও শুকু। প্রথম দুইটী কর্মবন্ধনের হেতু ও শেষ দুইটী অর্থাৎ ধর্মধ্যান ও শুক্ৰধ্যান মুক্তিপ্রাপ্তির হেতু। অপ্রিয়বস্তু প্রাপ্ত হইয়া তাহা পরিত্যাগ করিবার, দুঃখ উপস্থিত হইলে তাহা দূর করিবার, প্রিয়বস্তুর বিয়ােগ হইলে তাহা প্রাপ্ত হইবার ও অপ্রাপ্তবস্তু প্রাপ্ত হইবার চিন্তাকে আধ্যান বলে। হিংসা, অসত্য, চৌর্য ও বিষয়াদি রক্ষণের জন্য উৎপন্ন চিন্তাকে রৌদ্ৰধ্যান বলে। ধর্মধ্যান চারি প্রকার। আজ্ঞাৰিচয়, অপায়বিচয়, বিপাকৰিচয় ও সংস্থানবিচয়। তীর্থঙ্করের আদেশ কি তাহা জ্ঞাত হইয়া তদ্বিষয়ে চিন্তা করাকে আজ্ঞাবিচয়, আপনার নিজের মধ্যে কি কি দোষ আছে তাহা অনুসন্ধান করিয়া তাহা দূর করিবার জন্য যে চিন্তা তাহাকে অপায়বিচয়, যে সমস্ত সুখ ও দুঃখাদি অনুভব করা যায় তাহা কোন কোন কর্মের বিপাক ইত্যাদি কর্মের বিপাকের বিষয়ে যে চিন্তা তাহাকে বিপাকবিচয় ও বিশ্বসংসারের স্বরূপের বিচারকে সংস্থানবিচয় ধর্মধ্যান বলে। শুধ্যানও চারি প্রকার যথা—পৃথকত্ববিতর্কসবিচার, একত্ববিতর্কনির্বিচার, সূক্ষ্মক্রিয়াঅপ্রতিপাতি ও ব্যুপরতক্রিয়াঅনিবৃত্তি। ধ্যানের বিশেষ বিবরণের জস্য তত্ত্বার্থাধিগমসূত্রের নবম অধ্যায়ের ২৯-৪৬ সূত্র ও হেমচন্দ্রাচার্য বিরচিত যােগশাস্ত্র ১০ম ও ১১শ প্রকাশ দ্রষ্টব্য।