________________
১২৮
উত্তরাধ্যয়ন সূত্র
এয়মঠং নিমিত্তা, হেউকারণচোইও।
তও মিং রায়রিসিং, দেবিংদো ইণমব্ববী ॥১৭ দেবেন্দ্র নমি রাজর্ষিকে এইরূপ বলিলেন ॥১৭
পাগাং কাইত্তাণং, গােপুরট্টালগাণিয়।
উসূলগসয়গঘিও, তও গচ্ছসি খত্তিয়া ॥১৮|| খত্তিয়া (হে ক্ষত্রিয়) পাগারং (প্রাকার =নগরের চতুর্দিকের প্রাচীর ) গগাপুর (প্রাকারের দ্বার) অট্টালগাণি ( অট্টালক =প্রাকারের উপরিস্থিত ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ যেস্থানে অস্ত্রশস্ত্র সঞ্চয় করিয়া দুর্গরক্ষিগণ উপর হইতে যুদ্ধ করে ) উসূলগ (পরিখা) সয়গঘীও (শতীশস্ত্রসকল ) কাইত্তাণং (করাইয়া = প্রস্তুত করাইয়া) তও (তৎপরে) গচ্ছসি (গমন করিবে = দীক্ষাগ্রহণ করিবে ) ॥১৮||
| হে ক্ষত্রিয়, নগরের চতুর্দিকের প্রাকার, অর্গল সহিত প্রকারের দৃঢ় দ্বার, প্রাকারের উপরিস্থ অস্ত্র রাখিবার ও যুদ্ধ করিবার প্রকোষ্ঠ সকল, প্রাকারের চতুষ্পর্শে পরিখা ও শতঘ্নী শস্ত্রাদি প্রস্তুত করাইয়া পরে দীক্ষাগ্রহণ করিবেন ॥১৮
এয়মঠং ণিসামিত্তা, হেউকারণচোইও।
তও শমী রায়রিসী, দেবিংদং ইণমব্ববী ॥১৯। রাজর্ষি নমি দেবেন্দ্রকে উত্তর দিলেন ॥১৯।
সদ্ধং গরং কিচ্চা, তরসংবরমগগলং। খংতিং ৪ নিউণ পাগারং, তিগুত্তং দুষ্পধংসয়ং ॥২০ ||
১। “উছুলগ’ টীকা ২। ২। “গরিং টীকা ৩।
৩। “তবসংযমমগগলং টীকা ১। সংবর—যে সমস্ত ক্রিয়ার দ্বারা কর্মের আস্রব বা আগমনকে নিরােধ করা হয় তাহাকে সংবর বলে। ইহা আবের বিপরীত তত্ত্ব। মন, বচন ও কায়ের সংযম, শুভ ধ্যান, ইচ্ছার নিরােধ, ক্ষমা, কোমলতা, সরলতা, শৌচ, সত্য, সংযম, তপস্যা, ত্যাগ, নির্মমত্ব, ব্রহ্মচর্য, নির্লোভ প্রভৃতি শুভ ক্রিয়াতে প্রবৃত্ত থাকিলে কর্মের আগমন নিরুদ্ধ হ ইয়া সংবর সাধিত হয়।
৪। খংতী’ টীকা ২