________________
রিয়েল-এর জন্য জ্ঞানী। | প্রশ্নকর্তাঃ এইরকম প্রচলিত আছে যে গুরু বিনা জ্ঞান কিভাবে সম্ভব ?
দাদাশ্রী গুরু তাে রাস্তা দেখান, মার্গদর্শন দেন আর ‘জ্ঞানীপুরুষ’ জ্ঞান দেন। জ্ঞানীপুরুষ’ অর্থাৎ যাঁর আর জানার কিছু বাকি নেই - নিজে নিজের স্ব-স্বরূপেই অবস্থিত। জ্ঞানীপুরুষ’ আপনাকে সব কিছু দিয়ে দেন। গুরু আপনাকে সংসারে পথ দেখান; ওনার কথা অনুসারে চললে সংসারে সুখী হবেন। কিন্তু আধি-ব্যাধি-উপাধিতে যিনি সমাধি প্রদান করেন তিনি জ্ঞানীপুরুষ।
| প্রশ্নকর্তাঃ যাঁর আত্ম-সাক্ষাৎকার হয়ে গেছে এরকম গুরুর কাছ থেকেই তাে জ্ঞান পাওয়া যায় ?
দাদাশ্রী ঃ শুধু আত্মসাক্ষাৎকার করলে কিছু হবে না। জ্ঞান-এর জন্যে ‘জ্ঞানীপুরুষ’ প্রয়ােজন। যখন ‘জ্ঞানীপুরুষ' স্পষ্ট করে দেন এই জগৎ কিভাবে চলছে, আমি কে? এ-কে?’ তখনই কার্য সম্পন্ন হয়। শুধু বই পড়লেও কিছু হবে না। বই তাে সাহায্যকারী, মুখ্য নয়। বই সাধারন কারন, অসাধারন নয়। অসাধারন কারন কে? - ‘জ্ঞানীপুরুষ!
অর্পণ বিধি কে করানাের যােগ্য? | প্রশ্নকর্তাঃ জ্ঞান নেওয়ার আগে অর্পণ বিধি করানাে হয়। কেউ যদি আগেই কোন গুরুর কাছে অর্পণ বিধি করে থাকে তাহলে তার কি আবার এই বিধি করা উচিৎ?
দাদাশ্রীঃ অর্পণ বিধি তাে গুরু করানই না। এখানে কি কি অর্পণ করতে হবে? আত্মা বাদে আর সব কিছু। সব কিছু অর্পণ তাে কেউ করেই না। অর্পণ হয় না আর কোন গুরু এরকম করানও না। গুরু তাে আপনাকে পথ দেখান। আপনার পথপ্রদর্শকের কাজ করেন। আমি গুরু নই, আমি জ্ঞানীপুরুষ। এখানে তাে ভগবানকে দর্শন করতে হবে। আমাকে অর্পন করতে হবে না। ভগবানকে অর্পণ করতে হবে।
আত্মানুভূতি কিভাবে হয়? প্রশ্নকর্তা ঃ আমি আত্মা’-এর জ্ঞান কিভাবে হয় ? নিজে এটা কিভাবে অনুভব করা যায়?
দাদাশ্রী ঃ এটা অনুভব করানাের জন্যেই তাে আমি আছি। এখানে যখন
[৮]