________________
{ $৩ ] . ভানুধ্যায়ী মিজগর আগ্রহে আমরা কয়েকখানি অতিদুল তারে ছায়ানিণি পর্যালােচনা প্রাপ্ত হইয়াছি। প্রধানত উহার উপর নির্ভর কজি আমরা এখানে বিষয়টার স্পীকরণের চেষ্টা করিব । ' মহৰি কণাদত বৈশেষিক সূত্রে বৈশেষিকসুভ্রের পরবর্তী তথা প্রান্ত পালের পাথ ধর্ম সংগ্রহের পূর্ববর্তী বৈশেষিক গ্রন্থ সমূহের প্রাপ্তি ত দূরের কথা,উহালের নামও আধুনিক বৈশেষিক সম্প্রদায়ে অপরিচিত। এই অবস্থায় দ্বাদশায়চক্রের ব্যায়াগমানুসারিনী টাকায় সিংহশুরি বৈশেষিকবাক্য নামক বাতিকগ্রন্থ, বৈশেষিক কটী নান্নী টীকা তথা প্রশমতি কৃত ভাষচীকার সামান্য পরিচয় দিয়া এবং ইতন্তত সেই গ্রন্থের সন্দৰ্ত উদ্ধার করিয়া এক অন্ধকার ক্ষেত্রে প্রকৃত আলােকপাত করিয়াছেন। বৈশেষিক সূত্রপাঠও কালক্রমে নষ্ট এই হইয়া গিয়াছে, ইহা বিশেষজ্ঞেরা উপলব্ধি করিয়া থাকেন। জৈনদার্শনিক গ্রন্থ তথা জৈনভাণ্ডারস্থ অন্যান্য গ্রন্থ এই সূত্র গ্রন্থের পাঠ নির্ণয়েও প্রচুর সাহায্য করে। নব্য বৈশেণিক প্রস্থানে জৈনাচার্যদের অবদান সম্পর্কে বিশিষ্ট আলােচনা বন্ধুর উঃ শ্রীজিতেন্দ্র জৈতলী মহাশয় ইংরাজী ভাষায় করিয়াছেন।
বৈদিক ন্যায় পরস্পরায় মহর্ষি গৌতমের সূত্রের উপর ন্যায়ণের ভা, উদ্দ্যোতকর কৃত ন্যায়বার্তিক, বাচস্পতি মিশ্র প্রণীত ন্যায়বার্তিক, বাচস্পতি মিশ্র প্রণীত ন্যায়বার্তিকতাৎপর্য টাকা তথা উদয়নাচার্য নির্মিত তাৎপর্য পরিতব্ধি সম্মিলিতরূপে ন্যায় চতুগ্রন্থিকা নামে মিথিলা এবং বঙ্গদেশে প্রসিদ্ধ। জৈন পরম্পয় সূত্ৰসহিত ন্যায় চতুগ্রন্থিক পঞ্চপ্রস্থানন্যায়তৰ্ক নামে পরিচিত। অতি সমাদরে জৈনাচার্যের পঞ্চ প্রস্থান অধ্যয়ন কয়িতেন। ইহার প্রামাণিক এবং প্রাচীন মাতৃকা জৈন ভাণ্ডারে পাওয়া যায়। জৈনাচার্য অভয়তিলক পঞ্চপ্রস্থানের উপর ন্যায়ালঙ্কার অথবা পঞ্চপ্রস্থান ন্যায়টীকা নামে প্রসিদ্ধ অতিবিস্তৃত এবং মার্মিক ব্যাখ্যাগ্রন্থ চনা করিয়া গিয়াছেন। তিনি অভিনিপুণ ভাবে পাঠবিচার করিয়া ন্যায়সিদ্ধান্তের যথাযথ প্রতিপাদন করিয়াছেন। আচার্য অভয়তিলক খরতরগচ্ছের সুপ্রসিদ্ধ আচার্য জিনেখর সূরির শিষ্য ছিলেন। তিনি হেমচন্দ্ৰত ব্যালয়কাব্যের বাক্যবৃত্তি মহাবীর, বাদল, যুগাদিদেবতা, শুনতে তথা আর্জিনাথন্তৰ শীৰ্ষক অন্যান্য গ্রন্থও রচনা করিয়াছিলেন। ১
১ অত তিলকের গ্রন্থাবলীর নাম বিকানীয়ের বিশিষ্ট শাসেবী পণ্ডিত যুত অগৰ নহাটার সৌজন্যে প্রান্ত।