________________
[ ১৪ । শ্ৰচাৰকৃত টলকের অনুসরণে অভয়তিক জগৰ ৰচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন বলিয়া মনে হয়। এই ন্যায়টিকের একমাত্র অ রে জৈনভাণ্ডারে সুরক্ষিত আছে। অনিরুদ্ধাচার্যের গৰিয়ৰ পঞ্জিকা অভিএমন এবং প্রামাণ্যগ্রন্থ। আচাৰ উদরুন অনিরুদ্ধের নাম এক্ষর সহিত উল্লেখ করিয়াছেন। গ্রন্থের মাতৃকাও জৈনভাণ্ডার পাওয়া গিয়াছে।।
ভাসকৃত ন্যায়সারের ধােপ ব্যাখ্যার নাম ভূষণ। ইহা দীর্ঘকাল ভাতের বিভিপ্রান্তে আদর লাভ করিয়া আসিয়াছে। দুঃখের বিষয় উহা অতিশয় দুষ্প্রাপ্য। বাদ রত্নাকরাদি গ্রন্থে উপলৰ ন্যায়ভূষণের সর্তগুলি ভূষণমতেয় বৈশিষ্টের প্রতিপাদক।
আচার্য হরিভদ্রের বড় দর্শন সমুচ্চয় তথা সাম্বাত্রিংশতিকা গুলিতে - বৈশেষিক তথা বৌদ্ধদার্শনিকমতের মাৰ্মিক প্রতিপাদন দেখা যায়। যদর্শন সমুচ্চয়ের টাকায় গুণসুরি অনেক লুপ্ত ন্যায়গ্রন্থের সন্ধান দিয়াছেন। এই গ্রন্থে অধ্যয়ন নামক অল্প পরিচিত ন্যায়টীকাকারের সবিশেষ ও উত হইয়াছে। | আত্মতত্ত্ববিবেক উদয়নাচার্যের অন্যতম প্রসিদ্ধ গ্রন্থ। এককালে ইহার মহত্ব সর্বত্র স্বীকৃত ছিল। ইহার উপরে অনেক ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও লিখিত হইয়াছিল। কিন্তু বিষয়গত কাঠিন্য, পূর্বপক্ষের অপরিচয় তথা সম্প্রদায় প্রচুতির জন্য ইহার পাঠ এবং অর্থনির্ণয় প্রায় অসম্ভব হইয়া পড়িয়াছে। এই বিষয়ে অনার্য যশােবিজ কত খণ্ডখাদ্য হইতে আমাদের যথেষ্ট সাহায্য মিলে। সভবতঃ জৈনসম্প্রদায়ে আচার্য যশােবিজয়ই সর্বপ্রথম নব্যধ্যায়ের শৈলীতে জৈসিকান্ত ব্যাখ্যা করিয়াছেন। তাহার গ্রন্থাবলী সম্পূর্ণ প্রকাশিত হইলে ন্যায়শান্ত্রের তুলনা মুলক আলােচনার এক নূতন সরণি খুলিয়া যাইবে।
| বৌদ্ধ দার্শনিক মত তথ্য গ্রন্থ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও জৈন আচার্যদের অনুরাগ সুবিদিত। দিগনাগকৃত বলিয়া পরিচিত ন্যায় প্রবেশের উপর হরিভদ্র তথা পার্শ্বদেব গণি ব্যাখ্যা তথা উপব্যাখ্যা রচনা করিয়াছেন। মন্ত্রবাদীর ন্যায়বিটীকা প্রসিদ্ধ। প্রভাচ ন্যায়নিবিনিশ্চয় বিবরণে প্রজ্ঞারকৃত প্রমাণবাতিলফারের বিস্তৃত আলােচনা করিয়াছেন।
ভারতীয় ন্যায়পরম্পরায় জৈনাচার্যদের এই অবদান অতীৰ মহত্বপূর্ণ। অন্যত্র পরমতরক্ষণের জন্য এইরূপ একনিষ্ঠ চেষ্টা দেখা যায় না।