________________
জৈনেভরন্যায়শায়ের প্রচার ও প্রসারে জৈনদের যোগদान অধ্যাপক শ্রীজনন্তলাল ঠাকুর
ভারতবর্ষে আন্বীক্ষিকী বিস্তার প্রসার তিন ধারায় হইয়া ছিল। এই ধারাক্রয়ের মূল এক অথবা বহু ইহা বিবাদাস্পদ বিষয়। এই গভীর বিষয়ে প্রবেশের চেষ্টা বর্তমান নিবন্ধের ক্ষেত্র বহির্ভূত। কিন্তু পরবর্তীকালে আর্ষ, বৌদ্ধ এবং জৈন এই তিন বিশিষ্ট তার সম্প্রদায়ের ঘাত প্রতিষ্ঠাত এবং ক্ষেত্র বিশেষে ইহাদের পারস্পরিক আহুকূল্য এবং প্রাতিকূল্যের দ্বারা সামাজিক দৃষ্টিতে ভারতীয় যুক্তিবাদের যে শ্রীবৃদ্ধি হইয়াছিল আমরা এখানে তাহাই সংক্ষেপে আলোচনা করিব।
বৈদিক আন্বীক্ষিকী বিদ্যাকে আধার স্বীকার করিয়া বৌদ্ধ যুক্তিবোদ পুরি লাভ করিয়াছিল এই কথা মহর্ষি গৌতমের ন্যায়শাস্ত্রের সহিত উপলব্ধ প্রাচীন বৌদ্ধবাদ গ্রন্থগুলির তুলনা হইতে স্পষ্ট প্রতিভাত হয় । প্রমাণ, হেত্বাভাস এবং নিগ্রহ স্থানাদি পদার্থের চর্চায় প্রাচীন বৌদ্ধাচার্যেরা অক্ষরণঃ গৌতমের অনুসরণ করিয়াছেন। উভয় পক্ষের তাত্ত্বিকদৃষ্টির বিভিন্নতা বশত: সিদ্ধান্তগুলিতে ইতস্ততঃ ভেদ দৃষ্টিগোচর হইলেও ন্যায়শাস্ত্রের পদার্থ বিবেচনার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের ১তৈক্য বিস্ময়াবহ। সম্ভবতঃ আচার্য বঙ্গবন্ধুর কাল হইতে উভয় পক্ষের ব্যবধান বৃদ্ধি পায় । আচার্য দিগ নাগ ন্যায়পদার্থ বিচার পরিত্যাগ পূর্বক বৈশেষিক পক্ষের অনুসরণ করেন। তংকৃত প্রমাণসমুচ্চয়াদি গ্রন্থ প্রমাণও হেত্বাভাসের চর্চা পরীক্ষা করিলে বিষয়টি স্পষ্ট বুঝা যায়। দিগ নাগ ন্যায়ভাষ্যকার বাংলায়নের মত খণ্ডন করেন। বাংস্তায়নের মত সমর্থন করিতে গিয়া ন্যায়বার্তিকার উদ্দ্যোতকর দিগ নাগের মতে বহুস্থলে অনুপপত্তি প্রদর্শন করিয়াছেন। আধার দিগ নাগের প্রণিষ্ঠ ধর্মকীর্তি উদ্দ্যোতকরের সমালোচনা করিয়া বৌদ্ধপক্ষ স্থাপন করেন এবং ন্যায়বাতিকতাৎপর্যটাকায় বাচস্পতি মিশ্র ধর্মকীর্তির সমালোচনার উত্তর দিয়া ন্যায়মতের সৌষ্ঠব সম্পাদন করেন। এই রূপে বাচস্পতি ও বৌদ্ধাচার্য প্রজ্ঞাকর ও জ্ঞান শ্রীমিত্রের কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হইয়াছিলেন। পরবর্তী ন্যাচার্য উদয়ন জ্ঞান শ্রীমিত্র প্রভৃতির মত বিশেষভাবে খণ্ডন করিয়া বাচস্পতি প্রস্থানের বিশুদ্ধি বিধান করেন। অতঃপর রাজনৈতিক কারণে নালন্দা বিক্রমশিলা