________________
[
]
লাগলেন। আবশ্যক নিযুক্তিতে পাওয়া যায়, ভদ্রবাহ দশবিভাগে বিভক্ত করে 'হ্যায়' শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং সূত্রকৃতাপনিষু ক্তিতে পাওয়া যায়, ভদ্রবাহ স্বয়ং 'স্যাম্মাদ' শিক্ষা দিয়ে লোকের মন জয় করেছিলেন। জৈনদর্শনে পদার্থ (দ্রব্য), পদার্থজ্ঞান, কালচক্র, কালতত্ত্ব, সৃষ্টিপ্রকরণ, আত্মা ও দেহ, ইন্দ্রিয়বর্গ প্রভৃতির অপূর্ব ব্যাখ্যা আছে। এই ব্যাখ্যায় জৈন মনিষীরা তাঁদের প্রজ্ঞাশক্তির অপূর্ব - পরিচয় দিয়েছেন । এ মনীষীদের মধ্যে কুন্দকুন্দাচার্য বা এলাচার্য প্রধান। তিনি প্রাকৃত ভাষায় ৮৩টি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তন্মধ্যে
(১) পঞ্চান্তিকায় সময়সার, (২) প্রবচনসার, (৩) সময়সার, (৪) নিয়মসার, (৫) ঘট প্রাভৃত প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য ।
তৎপরে ভট্টকের স্বীয় প্রতিভার পরিচয় দিলেন প্রাকৃত ভাষায় লিখিত 'মুলাচার' ও 'ত্রিবর্ণাচার' গ্রন্থে। কার্তিকেয় স্বামীর ‘কার্তিকেয়ালুপ্রেক্ষা, ; উমাস্বামিনের ‘তত্ত্বার্থাধিগমসূত্র' ; হরিভদ্রের 'দ্রব্যগুণ''প্ৰাৰক প্ৰাপ্তি', 'প্রশমরতি প্রকরণ' প্রভৃতি দর্শন বিশেষ উল্লেখযোগ্য ।
এভাবে জৈনরা প্রাকৃত ভাষার মাধ্যমে ধর্মশাস্ত্রে, অর্থশাস্ত্রে, কামশাস্ত্রে এবং গণিতে, জ্যোতিষে, ফলিতজ্যোতিষে, এমনকি, আয়ুর্বেদে, ভূগোল, ইতিহাসে, সৃষ্টিপ্রকরণে বহুবিধ গ্রন্থ রচনা করে প্রাকৃত সাহিত্যের সম্পদ বৃদ্ধি করেছেন ।