________________
[ ]
কখানককাব্য—কালকাচার্যকথানক, কথাকোষ, কথামহোদধি, কথারত্বাকর
ইত্যাদি ৷
গদ্যকাব্য—সোমপ্রভাচার্যের কুমারপাল প্রতিবোধ, ধনপালের ভবিস্সয়ত্তকথা
ইত্যাদি ৷
চম্পূকাব্য — ধসোহর চরিয়াম্পু, উদ্যোতনের কুবলয়মালাচদু ইত্যাদি প্রধান।
প্রাকৃত নাটক
সংস্কৃত নাটকে সংস্কৃত ও প্রতি উভয় ভাষাই বিদ্যমান । স্ত্রীলোক বাদে উচ্চশ্রেণীর পাত্রগণ সংস্কৃত বলেন, আর স্ত্রীলোকসহ নিম্নশ্রেণীর পাত্রপাত্রীগণ প্রাকৃত বলেন। কিন্তু প্রাকৃত নাটক তাদৃশ নহে। প্রাকৃত নাটকে উচ্চ-নীচ, স্ত্রী-পুরুষনির্বিশেষে সকলেই প্রাকৃত ভাষায় কথা বলেন। এই জাতীয় নাটককে সট্রক বলে। এই নাটকে চারিটি অঙ্ক থাকে এবং তার নাম জবনিকান্তর। বর্তমানে আমরা ছয়টি প্রাকৃত-নাটকের খোঁজ পাই । যথা
(১) রাজশেখরের কপূরমঞ্জরী, (২) নয়চন্দ্রের রক্তামঞ্জরী, (৩) রুদ্রদাসের চন্দ্রলেখাসটক, (৪) মার্কণ্ডের বিলাসবতী, (৫) বিশ্বেশ্বরের শৃঙ্গারমঞ্জরী এবং (৬) ঘনামের আনন্দসুন্দরী।
প্রাকৃতবৈজ্ঞানিক সাহিত্য
কেবল প্রাকৃত কাব্যাদি রচনা করে, প্রাকৃত সাহিত্য ক্ষান্ত হয়নি, বরং সংস্কৃতের ন্যায়, বিজ্ঞানমূলক রচনা পদ্ধতির দ্বারা এক প্রকার প্রাকৃতবৈজ্ঞানিক সাহিত্য ও সৃষ্টি করেছে। এ রচনার দ্বারা প্রাকৃত সাহিত্য পুষ্ট হয়েছে।
প্রাকৃত-কোষ বা অভিধান
সংস্কৃত সাহিত্যে কোষ বা অভিধান গ্রন্থ প্রচুর । প্রাকৃতে আমরা কেবল হুইটি কোষ গ্রন্থের পরিচয় পাই—একটি ধনপালের 'পাইয়লচ্ছিনামমালা' আর একটি হেমচন্দ্রের ‘দেশীনামমালা'। এদুটি গ্রন্থই বর্তমানে পাওয়া যায়। কিন্তু এ ছাড়া আরও প্রাকৃত অভিধান ছিল বলে অনুমান করতে পারি । কারণ, হেমচন্দ্রের দেশীনামমালার টাকায় অনেক প্রাকৃত অভিধানকারীর মোল্লেখ আছে।