________________
( 1 ) হল্পিদ্রের (২) নেমিনাহচরিউ ( অপ!, মানিকচন্দ্র ও সকলকীর্তির (৩) শাভিনাথচরিত, ১২শ খৃঃ সােমপ্রচার্যের (৪) সুমতিহচরিউ’, ১১৪৩ খৃঃ লক্ষণগণির (৫) সুশাসনাহরিয়’ প্রভৃতি প্রাকৃত পুরাণ বিশেষ উল্লেখযােগ্য। পুষ্পদন্তের ‘মহাপুরাণ’ (দশম শতকে) একখানি উৎকৃষ্ট দিগম্বর জৈন পুরাণ গ্রন্থ।
| সংস্কৃত সাহিত্যের মত প্রকৃত কাব্য ও ভাবে-ভাষায়, ছন্দে-অলংকারে ও ঘটনার পারিপাট্য মহীয়ান্। ভাষার নিমিত্ত প্রবেশ সহজসাধ্য নয় বলে সাধারণ পাঠক এর থেকে রস গ্রহণ করতে পারেন না। কিন্তু যদি একবার ভাষা আয়ত্তীকৃত হয়, তাহলে দেখা যাবে যে সংস্কৃত কাব্য থেকে এ কোন অংশে কম নহে। সংস্কৃত মহাকাব্যের যে সমস্ত লক্ষণ আছে, সে সমস্ত পুংখানুপুংখভাবে হয়ত এত সব সময় পাওয়া যায় না, কিন্তু এ কাব্য নতুনভাবে ভাবিত হয়ে এক নতুন রূপ দেবার চেষ্টা করেছে। সংস্কৃত মহাকাব্যের ন্যায় কোনও এক গ্রন্থ থেকে এর ঘটনাসমূহ সচরাচরই নেওয়া হয় নি; বরং অনেক কল্পনাশক্তি এ প্রাকৃত কাব্যজগতে আত্মপ্রকাশ করেছে। মূল কথা এই যে, প্রাকৃত কাব্য পাঠে যথার্থ আনন্দ পেতে কোন অসুবিধা হয় না।
| এ ভাষায়, মহাকাব্য, কাব্য, কোষকাব্য, ধর্মকথাকাব্য, কনককাব্য, গদ্যকাব্য, চম্পুকাব্য ইত্যাদি বহুজাতীয় কাব্য আছে। তন্মধ্যে কয়েকটির নামােল্লেখ করা যাচ্ছে
মহাকাব্যপ্রবরসেনের সেতুবন্ধ, হেমচন্দ্রের কুমারপালচরিত, সর্বমেনে হরিবিজিয়, হরিভদ্রের সনৎকুমারচরিয়, ধনেশ্বরের সুরসুন্দরীচরিয়, জেইন্দুর পরমপ্লয়াস, পুষ্পদন্তের নায়কুমারচরিউ, কনকামরের করৎচরিউ, হরিভদ্রসুরির ধ্যাখ্যান, রামপানি বাদের কংসবহহ, উসানিরুদ্ধ কুতূহলের লীলাবতী ইত্যাদি।
খণ্ডকাব্য-হালের গাথা সপ্তশতী, জয়বল্পতের বজ্জালগ্ন ইত্যাদি। কোষকাব্য-আনন্দবর্ধনের বিষমবানলীলা ইত্যাদি। ঐতিহাসিক কাব্য—বাক্পতিরাজেয় গউডােবহে ও মহুমবিজয় ইত্যাদি।
ধর্মকথাকাব্য-পাদলিপ্তাচার্যের তাবতীর ছায়া অবলম্বনে লিখিত তরঙ্গলােলা, ধনপালের ভৰিয়কহা, হরিদ্রের সমরাইকহা, মলয়সুন্দরী কথা ইত্যাদি।