________________
আগমের নিযুক্তি দৃষ্ট হয় :-(১) আচারা জের, (২) সূত্রতাল সূত্রের (৩) সূর্যপ্রাপ্তির, (৪) উত্তরাধ্যয়নের, (৫) আবশ্যক সুত্রে, (৬) দশবৈকালিকের, (৭) দশাতরে , (৯) ব্যবহার সূত্রে, (১০) ঋষিৰাশিষ্ঠ সূত্রের নিযুক্তি।
ভদ্রবাহুকে এই জাতীয় গ্রন্থের রচয়িতা বলে ধরা হয়। নিযুক্তিসমূহ আর্যাছলে জৈন মহারাষ্ট্র ভাষায় রচিত। আচার্যগণ এই জাতীয় নিযুক্তি কণ্ঠ কয়ে রাখতেন। পরবর্তীকালে এই নিযুক্তিই বৃহৎ আকার প্রাপ্ত হয়ে চুণী ও ভাব্য এনে পরিণত হয়ে নতুন সাহিত্যের আকার ধারণ করেছে। আবার তা’ থেকে টাকা, বৃষ্টি, অচু, ইত্যাদির উৎপত্তি হয়েছে। খেলার জৈনাগম গ্রন্থেরই কেবল নিযুক্তি দৃষ্ট হয়।
(খ) চুণি যেমন খেতাম্বরদের নিযুক্তি, তেমনি দিগম্বরদের চুৰ্ণিসূত্র। দিগম্বরের তাদের আগমগ্রন্থের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে এই চুৰ্ণির উৎপত্তি করলেন। কিন্তু উভয়ের মধ্যে মূলগত পার্থক্য আছে। নিযুক্তি হ’লএকটি কঠিন বা পারিভাষিক শব্দের ব্যাখ্যা, আর চুনি হ’ল শব্দের এবং সূত্রের ব্যাখ্যা। নিযুক্তি সাধারণত পদ্যাত্মক ; আর চূর্ণি গঙ্গাত্মক। চূর্ণি-সূত্রকে অবলম্বন কয়েই পরবর্তীকালে ভাষটীকা প্রভৃতির উৎপত্তি হয়েছে। বর্তমানে নিম্নলিখিত চুৰ্ণি দৃষ্ট হয়। (1) গুণধর প্রণীত ‘কসায়পাড়’ চূর্ণি, (২) শিববর্মার কপয়ভী’ চূর্ণি (কর্মপ্রকৃতি ), (৩) শিববর্মার ‘সতক’ চুণি (বা বন্ধশতক চুৰ্ণি), (৪) সিত্তরী” চূর্ণি (সপ্ততিকা চূর্ণি )। ইহা ছাড়া লঘুশতক চূর্ণি এবং বৃহচ্ছতক চুলিও আছে।
(গ) পত্রাবলী। পট্রাবলী (পত্রাবলী) বা ধোবলী ( বিরাবলী) বংশপরিচয়াত্মক সাহিত্য। অর্থাৎ জৈন ধর্মগ্রন্থে যে সমস্ত আচার্য, তহশিত গণধরদের নামােল্লেখ আছে, তাদের পরিচয় পাওয়া যায় এই পাবলী বা থেরাবলী সাহিত্যে। কজন আচার্যের ক’জন শিষ্য ও গণধর ছিল ; কে পূর্বে বা কে পরে, তাদের মােটামুল একটা পরিচয় মেলে এ জাতীয় সাহিত্যে। এ সাহিত্যে প্রভূত গ্রন্থ বিদ্যমান তন্মধ্যে-১) কল্পও থেরাবলী, (২) নংদী পট্টাবলী, (৩) দুসমাকালামনসংঘথয়ং, (৪) তপগচ্ছ পট্টাবলী ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।