________________
[ 8 ]
(ক) একাদশ অঙ্গ গ্রন্থ (১) আচারার সুত্র, (২) সূক্বতার হ (৩) স্থানাঙ্গ সূত্র, (৪) সমবায়াঙ্গ সূত্র, (৫) ভগবতী ব্যাখ্যা প্রজ্ঞপ্তি, (৩) আধর্ম কথা, (৭) উপাসকদশা সূত্র, (৮) অস্তকদদশা স্বত্র, (১) অনুত্তরৌপপাতিকদশা ক্ষুত্র, (১০) প্রশ্নব্যাকরণানি, (১১) বিপাকশ্রুত।
(খ) দ্বাদশ উপাঙ্গ সূত্র – (১২) ঔপপাতিকদশা সূত্র, (১৩) রাজপ্রাপ্নীয়, (১৪) জীবাভিগম, (১৫) প্রজ্ঞাপনা সুত্র, (১৬) সূর্যপ্রজ্ঞপ্তি, (১৭) জঙ্গুদ্বীপ প্রাপ্তি, (১৮) চন্দ্রপ্রজ্ঞপ্তি, (১৯) নিরয়াবলী, (২০) কল্পাবতংসিকা (২১) পুষ্পিকলা, (২২) পুষ্পচুলিকা, (২৩) বৃষ্ণিদশা।
(গ) দশপ্রকীর্ণ – ( ২৪ ) চতুঃ শরণম্, (২৫) আতুর প্রত্যাখ্যানম্, (২৬) ভক্তপরিজ্ঞা, (২৭) সংস্তার, (২৮) তন্দুল বৈতালিক, (২৯) চন্দ্রবিদ্যা, (৩০) দেবেন্দ্ৰস্তব, (৩১) গণিতবিদ্যা, (৩২) মহাপ্রত্যাখ্যান, (৩৩) বীরস্তব ।
(ঘ) ষটছেদ সূত্রে (৩৪) নিশীথ, (৩৫) মহানিশীথ, (৩৬) ব্যবহার, (৩৭) আচারদশা বা দশাশ্রুতঙ্কন্ধ, (৩৮) কল্পসূত্র বা বৃহৎকল্প, (৩৯) জিতকল্প বা পঞ্চকল্প ।
(ঙ) চম্বারগুল সূত্র- (৪০) উত্তরাধ্যয়ন সূত্র, (৪১) আবশ্যক সূত্র, (৪২) দশবৈকালিক সূত্র বা ওযনিযুক্তি, (৪৩) পাক্ষিক সূত্র বা পিণ্ডনিযুক্তি। (চ) স্বয়ংপূর্ণ গ্রন্থদ্বয় - (৪৪) নান্দীসূত্র, (৪৫) অনুযোগদ্বার।
আগম বহির্ভূত সাহিত্য
এর পর আগম বহিভূ ত গ্রন্থের কথা বলছি। (ক) নিষু ক্তি
জৈনগণ স্বীয় আগম গ্রন্থকে বোঝাবার জন্য সেই সেই গ্রন্থের ব্যাখ্যা লিখতে আরম্ভ করলেন। সেই ব্যাখ্যা গ্রন্থই পরবর্তীকালে এক সাহিত্যে পরিণত হলো । সেই জাতীয় সাহিত্যের নাম 'নিচ্ছুত্তি' ( নিষু ক্তি )। বেদের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে যেরূপ নিরুক্তের উৎপত্তি, সেরূপ জৈনাগম সাহিত্যের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে এই জাতীয় নিষু ক্তি গ্রন্থের উৎপত্তি ।
কেহ কেহ অনুমান করেন যে, আগম গ্রন্থের রচনাকালে বা কিছু পরেই এই এই নিযুক্তি গ্রন্থের আবির্ভাব। কারণ, আগম গ্রন্থের মধ্যে দেখা যায় ছুটি নিযুক্তি গ্রন্থের উৎপত্তি-পিওনিযুক্তি ও ওঘনিযুক্তি। বর্তমানে নিম্নলিখিত