________________
[ ৩ ] নয়টি গন্বেষাদির কথা বলা হয়েছে বলে এই গ্রন্থের নাম রাখা হয়েছে “পেজ্জদোসপাড়। বীরসেনাচার্য এর অয়ধবলা নামী টাকা এবং বৃষভাচার্য এর চূর্ণিসূত্রের প্রণেতা। উক্ত গ্রন্থখানি ‘জয়ধবলা’ নামেও বিখ্যাত।
মহাৰ | যখণ্ডগমকে যে ছয় ভাগে ভাগ করা হয়, তার অন্তিম ভাগের নাম “মহাবন্ধু”। সেই মহাব এরূপ বিশাল যে কালক্রমে উহা যথাগম হতে পৃথক্ হয়ে গেল এবং পৃথক্ গ্রন্থ বলে বিবেচিত হলাে। এই অংশের টাকাও পৃথক। ঢাকার নাম “মহাধবল”। ভূতবলি আচার্য গ্রন্থের প্রণেত। রচনাকাল আনুমানিক দ্বিতীয় শতকে। গ্রন্থখানি জৈন শৌরসেনী ভাষায় লিখিত। গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয় হ’ল জীবের বন্ধন। কিসে জীৰ বন্ধনদোষ হতে মুক্তি পাবে এবং কত প্রকার বন্ধন আছে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলােচনা আছে।
তিলােয়পতি(ভিলােক প্রজ্ঞপ্তি)। বৃভাচার্য কতৃক বিরচিত প্রাকৃত ভাষায় লিখিত ‘ব্রিলােক প্রজ্ঞপ্তি একটি প্রাচীন দিগম্বর গ্রন্থ। এতে ভূবিবরণ, বিশ্ব-নির্মাণকৌশল বিষয়ক বহু তথ্যমূলক তত্ব আছে। প্রসঙ্গক্রমে এর মধ্যে জৈনদের পৌরাণিক কাহিনী, কালনিরূপণ এবং বিভিন্ন মতবাদের পরিচয় পাওয়া যায়। জম্বুদ্বীপ, ঘাতকী খণ্ডদ্বীপ, পুরবীপ প্রভৃতি বহুদ্বীপের এবং জৈন কালচক্রের বিস্তৃত বিবরণ এর মধ্যে পাওয়া যায়। এক কথায়, জৈনশাস্ত্র ও তত্ত্ব উত্তমরূপে আয়ত্ত করতে হলে গ্রন্থখানি পাঠ করা আবশ্যক। গ্রন্থখানি মহাধিকার দ্বারা বিভক্ত এবং অতি প্রাচীন, কারণ, ধবলা নামক টাকায় এর উল্লেখ আছে।
দিগম্বর জৈনদের আগম গ্রন্থ অতি বিশাল। কিন্তু এখন পর্যন্ত খুব বেশী ছাপা হয়নি। অধুনা বহু পণ্ডিতের দৃষ্টি এদিকে পড়েছে।
| শ্বেতার জৈনরা কিন্তু পূৰোপ্লিখিত গ্রন্থগুলিকে তাদের আগম গ্রন্থের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন না। তাদের মতে ‘দৃষ্টিবাদ’ সম্পূর্ণ লুপ্ত এবং এর অন্তর্গত কোন গ্রন্থ নেই। সে যাই হােক, দিগন ও তাের এ নিয়ে মিশ্রণে জৈনদের ধর্মগ্র পরস্পরের পরিপূরক ও সম্পূরক য়েছে। সুতরাং সৃষ্টি বাদে শ্বেতাম্বর জৈনদের আগম গ্রন্থ ৪৫ খানি। নিম্নে এদের সংস্কৃত নাম দেওয়া হলাে।