________________
বলেন, ‘দৃষ্টিবাদ’ ভঁদের স্বারা রক্ষিত। এবং এই দিগম্বর সম্প্রদায়গণ কর্তৃক অক্ষিত গ্রই বর্তমানে দিগম্বর জৈাগম’ বলে বিখ্যাত।
দিগম্বরদের মতে ‘দৃষ্টিবাদ’ পাঁচ ভাগে বিভক্ত :-১) পরিক, (২) সুত্র, (৩) প্রথমানুযােগ, (৪) পূর্বগত এবং (৫) চূর্ণিকা। এদের মধ্যে পূর্বগত বাদে অপর চারিটি বিষয় কিছু জানা যায় না। পূর্বগত’ আবার চৌদ্দটি উপবিভাগে বিষয়ীকৃত। যথা
(১) উৎপাদপূর্ব, (২) অগ্রায়নীয়, (৩) বীর্য প্রবাদ, (৪) অন্তিনান্তি প্রবাদ, (৫) জ্ঞানপ্রবাদ, (৬) সত্যপ্রবাদ, (৭) আত্মপ্রবাদ, (৮) কর্মপ্রবা (৯) প্রত্যাখ্যান, (১০) বিদ্যানুবাদ, (১১) কল্যাণপ্রবাদ (১২) প্রাণবায়, (১৩) ক্রিয়াবিশাল এবং (১৪) লােকবিন্দুসার। অধুনা উক্ত বিষয়সমূহ যথাযথভাবে আমাদের কাছে উপস্থিত না হলেও তাদের প্রতিপাদ্য বিষয় নিম্নলিখিত গ্রন্থ থেকে জানতে পারি।
যখাগম পুষ্পদন্তু তবলি প্রণীত যখণ্ডগম একটি প্রাচীন দিগম্বর জৈন ধর্মগ্রন্থ। ইহা (জৈন) শৌরসেনী ভাষায় রচিত ; মধ্যে মধ্যে অর্ধমাগধী ও মাগধী ভাষার প্রভাব দৃষ্ট হয়। ইহার রচনাকাল সম্ভবত প্রথম বা দিতীয় শতকে। গ্রন্থখানি দর্শন বিষয়ক এবং কর্মপদ্ধতি দ্বারা প্রভাবান্বিত। ইহা ছয় খণ্ডে বিভক্ত :যথা—জীবস্থান, ক্ষুকবন্ধ, বন্ধস্বামিত্ববিষয়, বেদনা, বৰ্গনা ও মহাবন্ধ। পুষ্পদন্ত প্রথম ৭৭টি সূত্র রচনা করেন এবং তৎপরে ভূতবলি অবশিষ্টাংশ রচনা করেন। সর্বসাফল্যের ৬০০০ সুত্র দৃষ্ট হয়। বীরসেন কর্তৃক বিরচিত ‘ধবলা নাম্নী এর চাকা এরূপ প্রসিদ্ধ যে গ্রন্থখানি ধবলা' নামেও বিখ্যাত।
কায় পাড় (কষায় প্রাত)। গুণধরাচার্য কতৃক বিরচিত ‘কসায় পাড়’ আর একটি দিগম্বর জৈন ধর্মগ্রন্থ। ইহার রচনাকাল আনুমানিক দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকে। এই গ্রন্থে ক্রোধানি কমায়ের গন্বেষাদিরূপে পরিণতি, তাদের প্রকৃতি, অবস্থান, অভাগ, প্রশেগত বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি বিষয়ের আলােচনা আছে। এই গ্রন্থের প্রকৃত নাম ‘পেজ দোস পাড়’ (পেক্ষ=পেয়স, রাগ ; দোস=দ্বেষ এবং পাহাড় প্রভৃত)। অতএব দেখা যাচ্ছে যে, এই গ্রন্থে ক্রোধাদি চারটি বা হাস্যাদি