________________
সূচনা
ভারতী মহাবিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য, কর্ম-পদ্ধতি ও বর্তমানের কার্যাবলী ইতিমধ্যে অনেকেই অবগত হইয়াছেন। প্রাচীন ভারতের গুরুকুল ও নালন্দা তক্ষশীলা প্রভৃতির ন্যায় বর্তমানযুগে ইহাকে অন্যতম আর্য-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করাই ইহার কতৃপক্ষের উদ্দেশ্য। অনেক শিক্ষণীয় বিষয় আছে যাহাদের জন্য বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পাঠ্যতালিকা বা পরীক্ষাদি (Faculty) নাই যেমন—ধর্মতত্ত্ব শিক্ষা, আয়ুর্বেদ শিক্ষা, সমাজসেবা শিক্ষা, কৃষি-বিদ্যা শিক্ষা, শিল্প-বিদ্যা শিক্ষা, সামরিক শিক্ষা ইত্যাদি। নব-পরিকল্পিত এই বিশ্ব বিদ্যালয়ে এই সব বিষয় শিক্ষার জন্যও বিদ্যালয়দি থাকিবে। তদ্ব্যতীত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ও ইহার অন্তর্ভুক্ত থাকিবে। সুতরাং ইহাকে প্রাচীন গুরুকুলের একটী নবসংস্করণ বলা যাইতে পারে না। ভারতীয় শিক্ষা ও কৃষ্টির উপর এবং গুরুকুলের পদ্ধতিতে ইহার ভিত্তি প্রতিষ্টিত হইবে। বর্তমানে কলিকাতানগরীতে ইহার অন্তর্গত কয়েকটী বিভিন্ন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে এবং এই নগরীরই কিছুদূরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আবেষ্টনীর মধ্যে জাহ্নবীতীরে কোন বিস্তীর্ণ ভূভাগে এই মহাবিদ্যালয়ের স্থায়ী স্থানের ব্যবস্থা হইলে এই সব বিদ্যালয় গুলিও সেখানে স্থানান্তরিত হইবে ও অন্যান্য বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠিত হইবে। ইহাই সংক্ষেপে ভারতী মহাবিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য।
| ইহার বিভিন্ন কর্মপদ্ধতির সংক্ষিপ্ত আলােচনাও এখানে সম্ভব নহে। মাত্র একটি কর্মধারার বিষয় বলা হইতেছে। প্রাচীন ভারতে বিভিন্ন অধর্মাবলম্বীদের জন্য কিপ্রকার শিক্ষাপদ্ধতি ছিল—যেমন বৈদিক যুগের শিক্ষা প্রণালী, বৌদ্ধযুগের শিক্ষাপদ্ধতি, জৈন শিক্ষাপদ্ধতি, আয়ুর্বেদ শিক্ষাপদ্ধতি প্রভৃতি, এবং বর্তমানে ভারত ও অন্য দেশে যত প্রকার শিক্ষানুষ্ঠান ও শিক্ষাপদ্ধতি আছে তৎসম্বন্ধে আলােচনা ও পুস্তক প্রকাশ এই মহাবিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য। কারণ, ইহা দ্বারা কি প্রকার শিক্ষাপদ্ধতি বতমান ভারতে প্রযোজ্য তাহা অনুধাবন করা যাইবে। ধর্ম, জ্ঞান ও কৃষ্টির অমূল্য রত্নরাজি ভারতীয় শাস্ত্রগ্রন্থ ও অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে নিহিত আছে, এবং উহা সংস্কৃত, পালি বা প্রকৃত প্রভৃতি ভাষায় লিপিবদ্ধ থাকায় সাধারণের বোধগম্য হয় না। বিভিন্ন ধারায় (Series) অনুবাদাদি সহ এই সব গ্রন্থ প্রকাশও এই মহাবিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য। আর এই সব গ্রন্থ সংগ্রহ করিয়া বিভিন্ন শ্রেণীর পুস্তকাগার সৃষ্টি করাও এই মহাবিদ্যালয়ের কার্য।
দামিয়ানগরস্থ শ্ৰীযুক্ত শান্তি প্রসাদ জৈন মহাশয় জৈনধর্ম ও শাস্ত্রানুরাগী। এই সব বিষয়ে তঁাহার বদান্যতার জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীই, বিশেষতঃ জৈনধর্মাবলম্বী ব্যক্তি মাত্রই তাহার প্রতি কৃতজ্ঞ। যাহাতে ভারতী মহাবিদ্যালয়ের অন্তর্গত একটী জৈন পুস্তকাগার প্রতিষ্ঠিত হয়, জৈন গ্রন্থসমুহের গবেষণা ও প্রকাশ হয়, এবং ইহার অন্তর্গত ‘ভারতী ধর্মত
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org