________________
৪০
ষড় ভাষা স্তোত্র ঃ ধর্মবর্ধন (১২ শতক) কৃত ষড়ভাষানির্মিত পার্শ্বজিনস্তন। এই স্তোত্রে সংস্কৃত, মহারাষ্ট্ৰী, মাগধী শৌরসেনী, পৈশাচী এবং অপভ্রংশ এই ছয় ভাষা ক্রমান্বয়ে ব্যবহৃত হইয়াছে। | জিনপদ্ম কৃত (১৪ শতক) ষড়ভাষা বিভূষিত শান্তিনাথ স্তন। এই স্তোত্রেও ঐ ছয় ভাষার ব্যবহার হইয়াছে।
জৈন দর্শন জৈন দর্শনের বৈশিষ্ট্য ইহার ‘স্যাদ্বাদ’ বা ‘সপ্তভঙ্গ নয়। প্রাচীন মত খণ্ডনের জন্য অমােঘ অস্ত্ররূপে জৈনেরা তাহাদের এই ‘স্যাদ্বাদ’ বা ‘সপ্তভঙ্গ নয়’ ব্যবহার করিয়া থাকেন। এই বিচারের প্রথম এবং প্রধান কথা আপেক্ষিকত্ব। দ্রব্য, ক্ষেত্র, কাল ও ভাবের বিভিন্নতা অনুসারে প্রত্যেক বস্তুরই আপেক্ষিক বিভিন্নতা ঘটিতে পারে। এক লক্ষ্য লইয়া বিচার করিলে যেমন কোনও বস্তু আছে [ স্যাদস্তি ] বলা যায়, অন্য লক্ষ্য লইয়া বিচার করিলে আবার সেই বস্তু নাই [ স্যান্নাস্তি ] বলা যায়। বিভিন্ন পর্যায়ে একই বস্তু আছেও বলা যায়, নাইও বলা যায় [ স্যাদস্তি-নাস্তি ]। সর্বাবস্থায় সর্ব পর্যায়ে কোনও বস্তু আছে নাই বলা যায় না। পুদ্গল সমূহের পর্যায়ক্রমিক মিলন ও বিচ্ছেদে জগতের সদা-পরিবর্তনশীলতা এই ‘স্যাদ্বাদ’ নামক জৈন বিচারপদ্ধতিতে স্বীকার করা হইয়াছে। “স্যাদ্বাদ’ নামক বিচারপদ্ধতিকে ‘অনেকান্তবাদ’ও বলা হয়, কারণ ‘একান্ত-বাদ’ মতের খণ্ডনের জন্যই এই মত আবিষ্কৃত হইয়াছে। অদ্বৈতবাদী বলিলেন, ‘আত্মা
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org