________________
করিয়া এবং মন্দির ও রাজপ্রাসাদের কোনও ক্ষতি না করিয়া রাবণের ধ্যানভঙ্গ করিবার জন্য যাহা আবশ্যক অঙ্গদ তাহা করিতে পারিবে। | হস্তিপৃষ্ঠে আরােহণ করিয়া কুমার অঙ্গদ নগর ভ্রমণে নিষ্ক্রান্ত হইল। বানরধ্বজ সৈন্যগণ দলে দলে বালক, বালিকা ও নারীগণকে ভাবকি দেখাইয়া ফিরিতে লাগিল। নারীদিগের দুই-দুই জনকে ধরিয়া চুলে চুলে বাঁধিয়া দিয়া মজা দেখিতে লাগিল। কিন্তু কেহ কাহাকেও অস্ত্র প্রহার করিল না। নগর ভ্রমণের পর শান্তিনাথের মন্দিরে আসিয়া কুমার অঙ্গদ ভক্তিভরে শান্তিনাথকে প্রণাম করিল। তারপর কোলাহল করিয়া রাবণকে তিরস্কার করিতে লাগিল : তপস্বীর বেশে তুমি ভণ্ড, তুমি তােমার পবিত্র বংশে কলঙ্ক আনিয়াছ, সাধুর শাস্তি দিয়াছ, অসাধুর প্রশ্রয় দিয়াছ, লােভে ও পাপে আকণ্ঠ নিমগ্ন হইয়াছ ; শান্তিনাথের পবিত্র মন্দিরে প্রবেশ করিবার অধিকার তােমার মত পাষণ্ডের নাই। দূর হও, অপবিত্র। ইত্যাদি।
কিন্তু কিছুতেই রাবণের ধ্যানভঙ্গ হইল না। পাষাণের মূর্তির ন্যায় রাবণ অসাড়, অনড় অবস্থায় বসিয়া রহিল। কুমারের অনুচরগণ কোলাহল করিতে লাগিল।
এমন সময়ে বিদ্যুতের ন্যায় আকাশপথ বিদীর্ণ করিয়া ইন্দ্রজাল বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী এক যক্ষিণী আসিয়া রাবণকে বলিলেন ‘উঠ, আর তপস্যা করিতে হইবে না, আমি সন্তুষ্ট হইয়াছি, বর চাও। রাবণ শত্রুনাশ’ বর প্রার্থনা করিল। যক্ষিণী বলিলেন পরম জৈন পদ্ম ও লক্ষ্মণের অথবা বানরধ্বজ বিদ্যাধরদিগের কোনও ক্ষতি তুমি করিতে পারিবে না। আর অন্য কেহ তােমার কোনও ক্ষতি করিতে পারিবে না। হতাশ
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org