________________
২৮,
বন্দনা করা হইল। লঙ্কা রাজ্যে জীবহত্যা নিষেধ করিয়া রাজ-আদেশ বাহির হইল। সৈন্যগণকে যুদ্ধে বিরত থাকিতে আদেশ দেওয়া হইল। তারপর শান্তিনাথের মন্দিরে পরম পবিত্র অন্তঃকরণে পদ্মাসনস্থ হইয়া রাবণ ধ্যানে মগ্ন হইল। উদ্দেশ্য,-তপস্যা প্রভাবে বহুরূপিণী ইন্দ্রজালবিদ্যা লাভ করিয়া মানব-শত্রুকে নাশ করিতে হইবে।
বিভীষণ এ সংবাদ অবগত হইয়া পদ্মকুমারকে বলিল ? তপােভঙ্গ না করিলে রাবণ অজেয় হইবে। পুণ্যকর্মরত রাবণকে বিরক্ত করিতে পদ্মকুমার রাজি হইলেন না। তখন অনন্যোপায় বিভীষণ কুমার অঙ্গদের সহিত পরামর্শ করিলেন। স্থির হইল যে পদ্মকুমারের অজ্ঞাতসারেই রাবণের তপােভঙ্গ করিতে হইবে। বাঙ্গালা রামায়ণের অঙ্গদ-রায়বারের অনুরূপ ছায়া এইখানে দেখিতে পাওয়া যায়।
কুমার অঙ্গদ লঙ্কাভিমুখে যুদ্ধাভিযানে নির্গত হইল। কোটি কোটি ‘বানরধ্বজ’ সৈন্য লঙ্কায় প্রবেশ করিল। ক্ষেত নষ্ট করিল, শস্য নষ্ট করিল। মুখবিকৃতি পূর্বক লাফাইয়া লাফাইয়া গ্রাম্য বালিকাদিগকে ভীতি প্রদর্শন করিতে লাগিল। সমগ্র লঙ্কায় বিভীষিকা লাগিয়া গেল। শত শত, সহস্র সহস্র বানরধ্বজ সৈন্যের কোলাহলে নগর মুখরিত হইয়া উঠিল। শান্তিনাথের মন্দিরে শত শত বর্জনাদের ন্যায় ভয়ংকর শব্দ ও কোলাহল উখিত হইল। কিন্তু তথাপি রাবণের ধ্যানভঙ্গ হইল না। পদ্মাসনে উপবিষ্ট রাবণ প্রস্তর নির্মিত বিরাট মূর্তির ন্যায় অচল অটল ও নিস্পন্দ রহিল। মন্দির-রক্ষক যক্ষগণ আসিয়া অঙ্গদকে এইসকল দুষ্কর্ম হইতে বিরত হইতে বলিল। অবশেষে দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে স্থির হইল যে রাবণের জীবন নাশ না
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org