________________
২০. .
খ্ৰীষ্টীয় নবম শতক বা তৎপরবর্তী যুগের সাহিত্যে অনেকে আধুনিক ভারতীয় (গুজরাটী, কন্নড় বা হিন্দী) ভাষার ব্যবহার করিয়াছেন। সুতরাং আগম-বহিভূত জৈন সাহিত্যে নানা দেশে নানা ভাষার ব্যবহার হইয়াছে।
বিষয়বস্তু ও রামায়ণ, মহাভারত, পুরাণ, জ্যোতিষ অলঙ্কার, আয়ুর্বেদ, ছন্দ, উপাখ্যান প্রভৃতি প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের প্রায় সকল বিষয়বস্তুই জৈনসাহিত্যে রূপান্তরিত বা পরিবর্তিত আকারে ( জৈন মনােবৃত্তির অনুকূল আকারে) স্থান পাইয়াছে। তীর্থংকরদিগের কাহিনী, স্তোত্র, অভিনব জৈন পুরাণ বা সৃষ্টিতত্ত্বের কথা, জৈন সাধুপুরুষদিগের জীবনী, স্থবিরাবলী, পট্টাবলী, এবং অনেক অভিনব জৈনকাহিনী জৈনসাহিত্যের বিশিষ্ট মর্যাদা রক্ষা করিয়াছে। বৌদ্ধ জাতকের ন্যায় জৈন কথাসাহিত্য সুবিস্তৃত এবং এই সাহিত্যে অন্য সাহিত্যের বহু আখ্যান জৈন রূপ গ্রহণ করিয়া স্থান পাইয়াছে। এমন কি কালিদাসের শকুন্তলা, বিক্রমাের্বশী ও মেঘদূতেরও অনুকরণ হইয়াছে। বাৎস্যায়নের কামশাস্ত্রও বাদ যায় নাই। কিন্তু সকল প্রকার রচনাতেই একটি জৈন ধর্ম বা জৈন মনােবৃত্তির অনুকূল ছাপ পড়িয়াছে। | জৈন রামায়ণ (পদ্ম পুরাণ, বা পদ্ম চরিত > পউম চরিউ) : বাল্মীকির রামায়ণের মূল আখ্যানটিকে জৈন ছাঁচে ঢালিয়া রূপান্তরিত করিয়া জৈন পদ্মপুরাণ বা জৈন রামায়ণের আখ্যান রচিত হইয়াছে। রাম, লক্ষ্মণ, রাবণ, সুগ্রীব, হনুমান প্রভৃতি সকলকেই জৈন করিয়া লওয়া হইয়াছে। দু'একটি নামেও পরিবর্তন আছে ? রামের নাম ‘পদ্ম, রামের মায়ের নাম ‘অপরাজিতা’। বানরেরা বানর নয়, বিদ্যাধর।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org