________________
শিখরে পাথর কেটে মূর্তি বার করা হয়েছে। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, কি অসাধ্য সাধনই না করেছিল সে দিনের সেই সব শিল্পীরা।
এই দু’টী পাহাড়ের মাঝখানে একটা ছােট্ট সরােবর। বেলগােল বা শ্বেত সরােবর। সম্ভবতঃ এই সরােবরের নামেই গ্রামের নাম। তার সঙ্গে শ্রমণ শব্দটি কালে যুক্ত হয়েছিল এক সময় এখানে অনেক জৈন শ্ৰমণ একসঙ্গে থাকতেন বলে। শ্রমণের অপভ্রংশই শ্রবণ। সে যা হােক, সরােবরটি সত্যিই মনােরম।
বিন্ধ্যগিরির শিখরে উঠবার পাথর-কাটা সিড়ি আছে। সিড়ির মুখেই একটী মন্দির যার দ্বিতলে ভগবান পার্শ্বনাথের মূর্তি। তারপর পাহাড়ের মাথায় উঠে এলে একটী প্রাচীন প্রাকার দেখা যাবে। এই প্রাকারের মধ্যেই প্রথমে চব্বিশ তীর্থঙ্করের বসতি। মন্দিরটি ছােট। এই মন্দিরের উত্তর-পশ্চিমে একটী কুণ্ড। কুণ্ডের কাছেই চেন্নণ বা চন্দ্র প্রভুর বসতি। এই চেন্নণ বসতির একটু আগে উচু চবুতরার ওপর আদিনাথ, শান্তিনাথ ও আরিষ্টনেমির একটী মন্দির। এই মন্দিরটি বিন্ধ্যগিরির অন্যান্য মন্দিরের মধ্যে নিঃসন্দেহে বড়।
এই মন্দিরের আরাে আগে ভেতরের প্রাকারের মধ্যে দিয়ে ওপরে উঠে যাবার একটা দরজা। দরজার কাছে ভরত ও বাহুবলীর মন্দির। এখানে আরাে কিছু মূর্তি রয়েছে। তারপর আর একটা প্রাকারের ভেতর প্রবেশ করলে বাহুবলীর সেই মূর্তিটির কাছে এসে পড়া যায়। মূর্তিটি সুডৌল।
বারাে বছর পরপর যখন মূর্তিটির অভিষেক-মহামহােৎসবের অনুষ্ঠান হয়, সেই সময় ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত হতে অগণিত জৈন তীর্থযাত্রী এখানে এসে থাকেন। অভিষেকে মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে মূর্তিটিকে দুধ দই মধু ঘী ফল গিনি ও রূপাের টাকা
৩৭
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org