________________
ওমনি তার প্রকাশের আবরণ ক্ষয় হয়ে গেল। তিনি কেবলী হলেন।
প্রবাদ, তাঁর দেহাবসানের পর মহারাজ ভরত বাহুবলীর ৫২৫ ধনু পরিমিত এক স্ফটিক শিলার প্রতিমূর্তি তক্ষশীলার কাছে পােতনপুরে প্রতিষ্ঠিত করেন। কালে সেই মূর্তিটি অদৃশ্য হয়ে যায়। সম্ভবতঃ অরণ্যই তাকে গ্রাস করে। তারপর তা কুকুট সপের নিলয়ে পরিণত হয়।
আচার্য জীনসেনের মুখে এই প্রবাদের কথা জানতে পেরে চামুণ্ড রায়ের মা প্রতিজ্ঞা করেন সেই স্ফটিক মূর্তির তিনি যতদিন না দর্শন করবেন ততদিন আর দুধ গ্রহণ করবেন না। চামুণ্ড রায় গঙ্গারাজাদের মন্ত্রী ও সেনাপতি ছিলেন। তিনি মা’র এই প্রতিজ্ঞার কথা অবগত হয়ে মাকে নিয়ে পােতনপুরে তীর্থযাত্রা করেন। কিন্তু সেই মূর্তি দর্শন করবার সৌভাগ্য তাদের হয় না। চামুণ্ড রায় তখন ঐ ধরণের একটী মূর্তি আবার প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা করতে শুরু করেন। সেই চিন্তার ফল শ্রবণ বেলগােলের এই গােম্মটেশ্বর মূর্তি। মূর্তিটি পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত বলে পনের মাইল দূর হতেও সুস্পষ্ট দেখা যায়।
শ্রবণ বেলগােল মহীশূর রাজ্যের হাসান জেলায় অবস্থিত। বাঙ্গালাের হতে এর দূরত্ব ১০২ মাইল। বাঙ্গালাের, আরসীকেরে বা হাসান যে কোন জায়গা হতেই এখানে আসা যায়। হাসান হতে এর দূরত্ব মাত্র ৩১ মাইল। সব কটি জায়গা হতেই এখানে বাস আসে। বাঙ্গালাের কি মহীশূর এলে যেমন বেলুর, হালেবিদ যাবার, তেমনি এই শ্রবণ বেলগােলও। দু’টী পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত বলে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও আবার ভারী মনােরম।
শ্রবণ বেলগােলের উত্তরে চন্দ্রগিরি গাছপালায় সবুজ। দক্ষিণে বিন্ধ্যগিরি বা ইন্দ্রবেত্তায় সবুজের স্পর্শ নেই। এই বিন্ধ্যগিরির
৩৬
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org