________________
গোম্মটেশ্বর নামে পরিচিত হলেও মূর্তিটি বাহুবলীর। বাহুবলী দক্ষিণ ভারতে কি করে গােম্মটেশ্বর নামে পরিচিত হলেন তা আমাদের জানা নেই। সম্ভবতঃ এই মূর্তিটির প্রতিষ্ঠাতা চামুণ্ড রায়ের গােম্মট নাম হতে এই নামের উদ্ভব হয়ে থাকবে। তবে বাহুবলী উত্তর ভারতে কোনাে সময়েই গােম্মটেশ্বর নামে পরিচিত হন নি।
আগেই বলা হয়েছে বাহুবলী প্রথম তীর্থঙ্কর ভগবান ঋষভদেবের পুত্র ছিলেন। ঋষভদেব যখন প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন তখন তার সমগ্র রাজ্য পুত্রদের মধ্যে বিভক্ত করে দেন। ভরত অগ্রজত্বের অধিকারে অযােধ্যার সিংহাসন লাভ করেন। বাহুবলী তক্ষশীলার রাজ্য প্রাপ্ত হন। প্রথম প্রথম ভরত ও বাহুবলীতে যথেষ্ট সম্প্রীতি ছিল। কিন্তু ভরত যখন রাজ-চক্রবর্তীত্বের জন্য সমগ্র পৃথিবী জয়। করে এলেন ও বাহুবলীকে আনুগত্য জানাবার আদেশ দিয়ে তক্ষশীলায় দূত প্রেরণ করলেন তখন সে সম্প্রীতি নষ্ট হবার উপক্রম হল। ভরতের দূত অপমানিত হয়ে ফিরে গেলে ভরত সৈন্যসহ তক্ষশীলায় এসে উপস্থিত হলেন। বহুদিন ধরে ঘােরতর যুদ্ধ হল। কিন্তু যুদ্ধে জয় পরাজয় নির্ণীত হল না। ভরত অকারণ সৈন্যক্ষয় বন্ধ করবার জন্য দ্বন্দ্বযুদ্ধের প্রস্তাব পাঠালেন। দ্বন্দ্বযুদ্ধে যিনি জয়ী হবেন তঁার জয় হবে। বাহুবলী সে প্রস্তাব স্বীকার করে নিলেন। | তারপর যে কয়েক রকম দ্বন্দ্বযুদ্ধ হবার কথা ছিল তার সব। ক’টিতেই বাহুবলীর জয় হল, ভরতের হার। শেষ যুদ্ধ মুষ্টিযুদ্ধ। বাহুবলী ভরতের মুষ্ট্যাঘাত সহ্য করে উঠে এলেন। এবারে বাহুবলীর মুষ্ট্যাঘাত করবার কথা। কিন্তু ভরত জানেন সে মুষ্ট্যাঘাত সহ্য করবার ক্ষমতা তঁার নেই। ভরত তাই ভয়ে চক্র নিক্ষেপ করলেন। কিন্তু চক্র ব্যর্থ হয়ে ফিরে এল। ভরতের অন্যায়াচরণে আরাে
৩৪.
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org