________________
একটী মুখ্য স্বাস্থ্যাবাস। সৌরাষ্ট্রের লােকেরা এখানে হাওয়া বদলাতে এসে থাকেন আমাদের এদিকের গিরিডি, মধুপুর, শিমূলতলার মতাে।
শত্ৰুঞ্জয়ের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১৯৭৭ ফুট এবং সমগ্র পর্বতটি দু’টী উচ্চশৃঙ্গে বিভক্ত। মাঝখানে অরণ্যাচ্ছাদিত অধিত্যকা। মন্দির নির্মাণের জন্য এই অধিত্যকার অধিকাংশই আজ অবশ্য ভরাট হয়ে গেছে। নীচে শত্ৰুঞ্জয় নদী। হিন্দুদের কাছে যেমন গঙ্গা, জৈনদের কাছে তেমনি এই শত্ৰুঞ্জয়, সমান পবিত্র।
পলিতানায় যেমন ধর্মশালা আছে, তেমনি ধর্মশালা আছে। শত্ৰুঞ্জয় পাহাড়ের নীচেও। এখানে এসেও তাই থাকা যায়। নীচ হতে পাহাড়ে উঠবার সিড়ি আছে—পাথরের ধাপ কাটা সিড়ি। মাঝে মাঝে বিশ্রাম। কিন্তু তবুও তিন মাইল পাথরের সিড়ি ভেঙে ওপরে ওঠা একটু শক্ত বই কি। যাঁরা তা পারেন
, তারা ডুলি করে ওপরে আসেন। ডুলি এখানে সব সময়েই পাওয়া যায়।
ওপরের চড়াই যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানে হনুমানের মন্দির। সেখান হতে পথ দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। একটী পথ গেছে ডান দিকের উত্তর শিখরে। অন্যটি অধিত্যকা হয়ে বাঁ দিকের দক্ষিণ শিখরে। যাত্রীরা সাধারণতঃ উত্তর শিখর হয়ে অধিত্যকা দিয়ে দক্ষিণ শিখরে যান।
শত্ৰুঞ্জয়ের মন্দিরগুলাে দুগের মতাে দৃঢ় প্রাচীর পরিবেষ্টিত। মনে হয় সে মুসলমান আক্রমণের সময় হতে। তবু এই সমস্ত মন্দিরগুলােকে আক্রমণ ও ধ্বংসের হাত হতে রক্ষা করা যায়নি। শত্রুঞ্জয়ে খৃষ্টীয় এগার শতক হতে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তার অধিকাংশই আজ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই যে সমস্ত মন্দির
২৩
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org