________________
এখনো এখানে দেখা যায়, সেগুলো ষোল শতক বা তারো পরের । এত আক্রমণ ও ধ্বংসের পরেও যে শত্রুঞ্জয়ে এত মন্দির রয়েছে তার কারণ জৈন ভক্তদের ভক্তির প্রাবল্য। জীর্ণোদ্ধার ও মন্দির নির্মাণের কাজে সকলেই এখানে মুক্ত হস্তে অর্থ দান করেছেন। বস্তুতঃ মন্দির নির্মাণের কাজ এখানে কোনো সময়েই বন্ধ হয়ে থাকেনি । আজো প্রত্যেক জৈনের মনের বাসনা এখানে একটী মন্দির নির্মাণ করবার। তা যদি সম্ভব নাও হয় ত তীর্থঙ্করের চরণ প্রতিষ্ঠা।
শত্রুঞ্জয়ের সমস্ত মন্দিরের পরিচয় দেওয়া কারু পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই সেই পরিচয় এক একটী মুখ্য মন্দিরকে কেন্দ্র করে সমগ্র পাহাড়টিকে যে কয়টি টু কে ভাগ করা হয়েছে সেই টু কের নামে ৷ যেমন খরতরবাসী টুক । চৌমুখ টুক। বিমলবসি টুক । মুখ্য মন্দিরের নামেই এই সব টু কের নাম । এই সব টুক আবার আকারে সকলে সমান নয়। কোন টুক খুব বড় ত কোনটি ছোট। টু কের মুখ্য মন্দিরের মধ্যেও আবার আদিনাথ, কুমার পাল, বিমল শা,' সম্প্রীতি রাজা ও চৌমুখ মন্দিরই সমধিক উল্লেখযোগ্য। চৌমুখ মন্দিরে গর্ভগৃহের মাঝখানে উঁচু বেদীর ওপরে চারদিকে মুখ করা চারটি তীর্থঙ্করের মূর্তি বসান । চৌমুখ মন্দিরের বৈশিষ্ট্যই এই যে গর্ভগৃহের যে কোন দিকেই দাঁড়ান যাক না কেন সেখান হতেই তীর্থঙ্করের মূর্তির মুখোমুখি দর্শন হয়ে
যাবে ।
চৌমুখ মন্দির নিঃসন্দেহে এখানকার একটী প্রাচীন মন্দির । মন্দিরের প্রধান গর্ভগৃহটি ২৩ ফুট চতুষ্কোণ । গর্ভগৃহের প্রধান দরজার সামনে একটী প্রমাণাকার সভাগৃহ ৷ এই সভাগৃহেই যাত্রীরা পূজা ও জপাদি করে থাকেন। তবে এখানকার সব চাইতে পবিত্র মন্দির আদিশ্বরের। আদিশ্বরের মাতা মরু দেবী ও প্রধান গণধর পুণ্ডরীকের মন্দিরও এখানে আছে।
চৌমুখ মন্দিরের
28
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org