________________
এক মাইল। ওটুকু পথ হেঁটেই যাওয়া যায়। তাছাড়া দেলওয়াড়ার পাশ দিয়েই আবার বাস গেছে গুরুশেখর হয়ে অচলগড়ের দিকে। হিমালয় ও নীলগিরির মধ্যে এত উচু পাহাড় আর নাকি একটীও নেই। এর উচ্চতা ৫৬৪৬ ফুট। দেলওয়াড়াতেও ধর্মশালা ও যাত্রী-নিবাস আছে। | দেলওয়াড়ায় মােট পাঁচটি মন্দির আছে। তবে দেলওয়াড়ার খ্যাতি বিমল বসই ও বস্তুপাল-তেজপালের মন্দিরের জন্য। আর তিনটি মন্দির নিতান্তই সাধারণ।
বিমল বসই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয় ১০৩২ খৃষ্টাব্দে। প্রতিষ্ঠা করেন গুজরাটরাজ প্রথম ভীমদেবের মন্ত্রী বিমল শা’। বিমল শা’ অত্যন্ত সাধারণ অবস্থা হতে নিজের সাহস ও ধনুর্বিদ্যায় পারদর্শিতার জন্য রাজানুগ্রহ লাভ করে ক্রমশঃ প্রধান মন্ত্রীর পদে উন্নীত হন। বিমল বসই মন্দিরের একটি প্রাচীন লেখ হতে জানা যায় যে তিনি এক সময় চন্দ্রাবতীর এক বন্ধুককে পরাজিত করে আবু অঞ্চলের শাসন কতৃত্ব লাভ করেন। সেই কতৃত্ব লাভ করবার কিছুদিন মধ্যে তিনি মন্দির নির্মাণের কাজে ব্যাপৃত হন। অবশ্য এই মন্দির নির্মাণের পেছনে প্রত্যক্ষ উৎসাহ ছিল তাঁর গুরু ধর্মঘঘাষ সূরীর। ধর্মঘােষ সূরীই এই নবনির্মিত মন্দিরটিতে আদিনাথ বা ঋষভদেবের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
এই মন্দির নির্মাণের কাজে বিমল শা’ বারাে কোটি টাকার ওপর ব্যয় করেছিলেন। কিছুই অসম্ভব নয়। কারণ মন্দিরটির জন্য যে স্থান নির্বাচন করা হয় তা একজন ব্রাহ্মণের কাছ থেকে অসম্ভব মূল্যে কিনতে হয়েছিল। তার ওপর বিমল শা’ সমস্ত মন্দিরটিকে মাকরানার শ্বেত পাথর দিয়ে তৈরী করিয়েছিলেন—যে পাথর দিয়ে পরবর্তী কালে আগ্রার তাজমহল তৈরী হয়েছিল। সেই পাথরকে অনেক দূর হতে আনতে হয়েছে। আর শুধু আনাই নয়, পাহাড়ের
১৪
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org