________________
জৈন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন ‘সরাক’ (শ্রাবক শব্দের অপভ্রংশ ) নামে আজো তারা পরিচিত। কিন্তু সে যা হােক, প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক কারণে জৈন ধর্মকে ক্রমশই পূর্বাঞ্চল হতে পশ্চিমে ও দক্ষিণে সরে যেতে হয়েছে। বলতে কি জৈন ধর্মের প্রসার আজ পশ্চিমাঞ্চলেই বেশী-গুজরাটে ও রাজপুতানায়। সম্মেতশিখরের কথাও যে মানুষ ভুলে গিয়েছিল সেও ওই কারণেই।
কিন্তু দেলওয়াড়াকে কেউ ভুলে যায়নি। দেলওয়াড়া অত প্রাচীন নয়, না কল্যাণ-তীর্থ। আবু পাহাড়ে কোনাে তীর্থঙ্কর এসেছিলেন কিনা যেমন জানা নেই তেমনি জানা নেই খৃষ্টীয় দশ শতকের আগে এখানে জৈন শাসন প্রবর্তিত হয়েছিল কিনা। তবে পরবর্তী কালে যে এখানে এসে জৈন সাধুরা থাকতেন তার প্রমাণ আছে। তাই আবুও এক হিসেবে তীর্থ। তাছাড়া আবুতে
এলে, দেলওয়াড়ার মন্দির না দেখলে জৈন স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের একটা বিরাট কীর্তির সঙ্গেই পরিচয় হয় না। শুধু তাই নয়, রূপকল্পনায় ও সূক্ষ্ম কারুকার্যে দেলওয়াড়ার মন্দিরের কাছাকাছি আসে ভারতবর্ষেও এমন মন্দির বিরল ! তাই এখানে জৈন তীর্থযাত্রীই নয়, আসেন পৃথিবীর দূর-দূরান্ত হতে আর এক ধরণের তীর্থযাত্রী, যাঁরা শিল্পী ও শিল্প-রসিক। দেলওয়াড়া তাই আর্টিষ্ট ও আর্টপিপাসুদেরও তীর্থক্ষেত্র।
দেলওয়াড়ায় আসা কিছুই শক্ত নয়। দ্বারকা যাবার পথে পশ্চিম রেলওয়ের দিল্লী-আমেদাবাদ লাইনে আবুয়ােড ষ্টেশন দেখে থাকবেন নিশ্চয়ই। সেখানে নেমে আবু পাহাড়ে চলে আসুন। ষ্টেশন হতে তার দূরত্ব সতের মাইল। তবে ভয়ের কোনাে কারণ নেই। বাস ও পাকা সড়ক রয়েছে। বাস ষ্ট্যাণ্ডের কাছেই পাহাড়ের মাথায় হােটেল। এখান হতে দেলওয়াড়ার দূরত্ব আরাে
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org