________________
মাথায় তােলা হয়েছে। কিন্তু কি ভাবে যে তােলা হয়েছিল সেও এক আশ্চর্য। তারপর কত সুদক্ষ কারিগরকে যে তাকে নিযুক্ত করতে হয়েছিল—তারে সীমাসংখ্যা নেই। কাজ এত সূক্ষ্ম যে দেখলে মনে হয় না এরা পাথর কুরে মন্দির তৈরী করেছে – মনে হয় সমগ্র মন্দিরটি যেন মােম দিয়ে তৈরী। তাই ছবিতে দেখা কিছু দেখা নয়, কানে শােনাও কিছু শােনা নয়, চোখে দেখলেও বিশ্বাস করা যায় না এমনি। | মন্দিরটি বাইরে থেকে দেখলে একটু নিরাশ হতেই হয়, কারণ। মন্দির বলে একে মনে হয় না। একটা চার কোণা বাড়ী, খুব উচুও নয়, সুস্পষ্ট কোনাে শিখরও নেই। কিন্তু একবার ভেতরে ঢুকলে একসঙ্গে রূপকথার রাজ্য অবারিত হয়ে যায়। তখন বিশ্বাস করতেই ইচ্ছা করে না যে এ সমস্তই মানুষের হাতে তৈরী। মনে হয় এ সব যেন সেই পুরাণ-প্রখ্যাত ময়দানবের কীর্তি। | ভেতরে ঢুকলে প্রথমেই যা চোখে পড়ে সে সার সার থাম আর বন্ধনীর আকারে খিলান। খিলানগুলাে দু’দিকে বিস্তৃত—তাই আর্চের সৃষ্টি করেছে। এই খিলানের কাজগুলো ভারী সূক্ষ্ম। এ রকম খিলানযুক্ত আটচল্লিশটি থামের ওপর দাঁড়িয়ে আছে সমগ্র মণ্ডপটি। শ্বেত পাথরেরই মণ্ডপ। এই মণ্ডপটিকে ঘিরে চারদিকে ছােট ছােট বাহান্নটি কুঠরী। এই সব কুঠরীতে তীর্থঙ্করদের পদ্মাসন মূর্তি রয়েছে। মূর্তিগুলো সমস্তই এক ধরণের তাই লাঞ্ছন * না দেখে চিনবার উপায় নেই কোনটি কার। কুঠরীগুলাের সামনে সঙ্কীর্ণ একটা গলিপথ। মুখ্য মন্দিরে ভগবান আদিনাথের প্রমাণাকার
* লাঞ্ছন অর্থে প্রতীক চিহ্ন। চব্বিশ জন তীর্থঙ্করের লাঞ্ছন যথাক্রমে : বৃষ, হস্তী, অশ্ব, বানর, বক, পদ্ম, স্বস্তিকা, চন্দ্র, মকর, শ্রীবাস্তব, গণ্ডার, মহিষ, বরাহ, ঈগল, বজ, হরিণ, মেষ, নন্দীবর্ত, কলস, কূর্ম, পদ্মপত্র, শঙ্খ, সর্প ও সিংহ। মূর্তির সঙ্গে সঙ্গে পাথরের গায়ে এই চিহ্নগুলো উৎকীর্ণ থাকে।
১৫
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org