________________
মতাে জল ঝরে রয়েছে সমস্ত মেঝেতে। নয়ত প্রখর সূর্যালােকে সমস্ত কিছু উদ্ভাসিত। আকাশের রঙ নীল।
| মন্দির দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। আশ্চর্য এর নির্মাণ। কৌশল। আর কত ওপরে।
| সেই সঙ্গে ভগবান পার্শ্বের কথাও আপনার মনে না পড়ে পারবে না। মনে পড়বে যেদিন তিনি সকলকে বারাণসীর বহিরুদ্যানের দিকে যেতে দেখে জিজ্ঞাসা করছেন এরা সব কোথায় চলেছে—সেদিনের কথা। কোথায় আবার ? ঐ যে কমঠ নামে এক সন্ন্যাসী এসেছে, তার কাছে। শুনে কুমার পাশ্বের মনেও কৌতূহল হল। তিনিও গেলেন কমঠের পঞ্চাগ্নি তপ দেখতে। কিন্তু কি দেখলেন? দেখলেন আগুনে কেবল কাঠই পুড়ছে না, পুড়ছে একজোড়া সাপও। অজ্ঞানকৃত সেই তপস্যা। তবুও থাকতে পারলেন না পার্শ্ব । তাকে সম্বােধন করে বলে উঠলেন, জানোনা হিংসায় কখনাে ধর্ম হয় না। ধর্মের মূল অহিংসা, দয়া। | কিন্তু পঞ্চাগ্নি তপে হিংসা কোথায় ?
পাশ্ব টেনে বার করলেন সেই অগ্নিকুণ্ড হতে একটী কাঠ। কাঠটিকে দু’খণ্ড করতেই তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এল আধপােড়া একজোড়া সাপ।
এই জীবে দয়া-অহিংসাই জৈন ধর্মের মূল কথা। এই অহিংসা প্রচার করবার জন্যই গৃহত্যাগ করলেন কুমার পাশ্ব। প্রব্রজ্যা নিলেন—করলেন চতুর্বিধ সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা। তারপর অন্তিম সময়ে এই সম্মেতশিখরে এসে অনশনে নির্বাণ লাভ করলেন।
মন্দিরের ভেতর শ্বেতপাথরের বেদী। বেদীর ওপর ভগবান পার্শ্বের চরণ-চিহ্ন। সেখানে দাড়িয়ে সেই মহাজীবনকে স্মরণ করে মনে মনে তাকে শ্রদ্ধা না জানিয়ে, প্রণাম না করে আপনিও পারবেন না।
১০
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org