________________
আগেই বেলা আটটা ন'টার মধ্যে এসে যাবেন পাহাড়ের ওপরের ডাকবাংলােয়। পাশ্বনাথের মন্দির আর দূরে নাই, মাত্র আধ মাইল।
মন্দিরের জন্য নয়, কিন্তু যদি থাকতে ইচ্ছে করে পাহাড়ের ওপর তবে থেকেও যেতে পারেন এই ডাকবাংলােয় এক আধ দিন। তবে সেক্ষেত্রে খাবার দাবার আপনাকে সঙ্গে করেই নিয়ে আসতে হবে। এখানে কিছু পাওয়া যাবে না। জ্বালানি কাঠ বন হতে সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে সেদিন সেখানে বিশ্রাম নিতে পারেন, পরদিন দেখবেন মন্দির। শুধু পাশ্বনাথের মন্দিরই নয়, অন্যান্য শিখরের মন্দির—গৌতম স্বামীর, অভিনন্দন স্বামীর, চন্দ্রপ্রভুর। অধিত্যকার জল-মন্দিরটিও। মন্দিরটিকে ঘিরে রয়েছে সুন্দর একটা জলের ঝিল--মানুষের তৈরী। তা না হলে ডাকবাংলাের বারান্দায় একটু বিশ্রাম নিয়েই উঠে পড়ুন। অনেক দেখবার আছে, অনেক ঘুরবার। আর সে সমস্ত যদি না পারেন বা সে ইচ্ছা না থাকে তবে সােজা চলে আসুন পার্শ্বনাথের মন্দিরে।
এখন পথ আরাে সঙ্কীর্ণ, আরাে ভাঙা-ভাঙা। যদি বৃষ্টি হয়ে গিয়ে থাকে ত পিচ্ছিল। বৃষ্টি এখানে প্রায়ই হয়। বােধ হয় খুব উচু বলেই।
সম্মেতশিখরের উচ্চতা প্রায় সাড়ে চার হাজার ফিট—এদিকের সব চাইতে উচু পাহাড়। ওপরে দাড়ালে দেখতে পাবেন চারদিকের সুন্দর দৃশ্য পাহাড়ের সার। দূরে ঝিল। যমনৈয়া সাদা সূতাের মতো বেষ্টন করে আছে এই পাহাড়টিকে। আরাে দেখবেন হরিতে হিরণে সুন্দর পৃথিবীকে—ওপরে হয়ত তখন মেঘের ঘনঘটা নীচে রৌদ্র-ছায়ার লুকোচুরি।
পথ শেষ হয়ে গেছে মন্দিরের দ্বারপ্রান্তে এসে। তবু হয়ত মন্দিরটি তখনাে মেঘে মেঘে অস্পষ্ট। হয়ত বিন্দু বিন্দু ঘামের
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org