________________
এখানকার অরণ্য গভীর, তবে ভয়ের কোনাে কারণ নেই। বাঘ এখানে থাকলেও বাঘে কখনো কাউকে নিয়েছে এমন শােনা যায়নি। বােধ হয় সে এই জায়গাটির প্রভাব। অহিংসা প্রতিষ্ঠায়াং বৈরত্যাগঃ—যােগ দর্শনের এই সূত্রটী এখানে যেন সত্য হয়ে উঠেছে। যেখানে এতো এতাে তীর্থঙ্কর, সাধু ও মুনি তপস্যা করে নির্বাণ লাভ করেছেন সেখানে তা না হয়ে আর উপায় কি ? তাই ভােরের আবছা আবছা অন্ধকারেই চলে আসুন মনে কোনাে শঙ্কা না রেখে। দু’দিকের ঝাঁকড়া ঝাকড়া গাছগুলােকে যতই অন্ধকার মনে হােক না কেন মাথার ওপরের তারার ঝাঁক আপনাকে পথ দেখাবে। সেই অখণ্ড নিস্তব্ধতায় কোথাও কোনাে শব্দ নেই, এক ঝরণার জলের ঝরঝর শব্দ ছাড়া। ভারি মিষ্টি ঝরণার জলের কলধ্বনি।
নীচের ভালো পথটা হয়ত একটু তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যাবে। তারপর আসবে ভাঙা পাথরের পথ, উচুনীচু, পাহাড়ের গা কেটে যা তৈরী হয়েছে। তবে ততক্ষণে দিনের আলােও ফুটতে আরম্ভ করেছে। ফরসা হতে আরম্ভ করেছে পূবের দিগন্ত। পথটা পাহাড়ী পথ যা হয়ে থাকে তাই। একদিকে খ। সে খ ক্রমশঃই নীচে নেবে যাবে, যতই ওপরে উঠবেন। কিন্তু কি সুন্দরই না দেখাচ্ছে সেই খদকে, যেন নীল কুয়াসার একটা স্বপ্ন। মাথার ওপর আকাশের গায়ে ততক্ষণে লাল লাল রেখা টানা হয়েছে। বােধ হয় পাহাড়ের আড়ালে সূর্যোদয় হচ্ছে।
এভাবে ওপরে উঠতে থাকুন। পথের দু'পাশে দেখবেন কত গাছ, কত ঝড়, কত লতা, কিছু যার চেনা কিছু অচেনা। আম গাছ দেখবেন দু’টী একটী, আর সরু বাঁশের ঝড়। বন-কদলীও চোখে পড়বে। পায়ের তলায় মুর মুর করবে ঝরা শুকনাে পাতা। বনের পাখীরা সাড়া দিয়ে ফিরবে। তারপর রােদ তাতিয়ে উঠবাব
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org