________________
দিক হতে, অন্যটা মধুবনের। নিমিয়াঘাট ষ্টেশন পূর্ব রেলওয়ের গয়া-হাওড়া লাইনে অবস্থিত। মধুবনে আসতে হয় তার আগের পরেশনাথ ষ্টেশনে নেমে। ষ্টেশন হতে দূরত্ব চোদ্দ মাইল। বাস আছে। গিরিডি হতেও মধুবনে আসা যায়। বাসপথে কুড়ি মাইল।। অনেকে গয়া হতেও এখানে এসে থাকেন—ইসরি হয়ে। ইসরি পরেশনাথ ষ্টেশনের কাছেরই একটা ছােট গ্রাম। তবে মধুবনের দিক হতে না উঠে নিমিয়াঘাটের দিক হতে ওঠাই ভালাে। মধুবনের পথটা একটু খাড়াই হয় বলে সে পথে নামতে ততটা কষ্ট হয় না, যতটা কি উঠতে। তাই যারা ওপরে যান তারা সাধারণতঃ নিমিয়াঘাটের দিক হতে উঠে মধ বনের দিকে নেমে আসেন। তবে মধবনেও একবার অবশ্যই আসা উচিত –মধ বনেও অনেক মন্দির আছে। এক অর্থে মন্দিরের গ্রাম এই মধবন।
নিমিয়াঘাটের দিক দিয়ে উঠলে একটু হাঁটতে হয় বেশীই। ষ্টেশন থেকেই হেটে আসতে হয়। তবে গাছপালায় ঢাকা পথ। হাঁটতে কিছু খারাপ লাগে না। বাতাসে কেমন বনের গন্ধ ভাসে। সে গন্ধ কেমন যেন নেশা লাগায়। সেই আদিম অরণ্য আর পাহাড়। এখানকার প্রকৃতির রূপই আলাদা।
খুব ভোর ভাের অন্ধকার থাকতে থাকতেই পাহাড়ের পথে বেরুতে হয়। কারণ পাশ্বনাথের মন্দিরে যেতে গেলে ছ’মাইল চড়াই, ছ’ মাইল উৎরাই করে প্রায় বারো মাইল পথ পার হতে হয়। তার ওপর বিভিন্ন শিখরের মন্দিরগুলাে যদি ঘুরে ঘুরে দেখতে হয় ত চড়াই উৎরাই করে আরাে ছমাইল। তারপর সন্ধ্যার আগেই আবার ফিরে আসতে হয়। আর কোনাে কারণে নয়, রাত্রে এখানে পথ-হাঁটা নিরাপদ নয় তাই। পাথর আর খদ ত আছেই, তাছাড়া হিংস্র জন্তুর মুখােমুখি পড়ে যাওয়াও কিছু আশ্চর্য নয়।
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org