________________
সাধু নির্বাণ লাভ করেন। তাই বহুল সংখ্যক জৈন তীর্থ যাত্রীরা সম্মেতশিখরের যাত্রা করে থাকেন । সম্মেতশিখরে আসতে পারা, বিশেষ করে পাহাড়ের ওপরের মন্দির দর্শন—সে অনেক ভাগ্যের ফল ।
সম্মেতশিখর বলায় হয়ত চিনতে অসুবিধে হচ্ছে—কিন্তু যদি বলি পরেশনাথ পাহাড়। পরেশনাথ পাহাড়েরই প্রাচীন নাম সম্মেতশিখর। অনেক প্রাচীন। প্রাচীন সাহিত্যে সম্মেতশিখরের উল্লেখ আছে বলেই নয়, যে কুড়িজন তীর্থঙ্করের এটি নির্বাণভূমি তাঁরা সকলেই প্রাগৈতিহাসিক যুগের । অবশ্য পার্শ্ব কে এখন আর প্রাগৈতিহাসিক বলা যায় না ৷ তাহলেও সম্মেতশিখর প্রাগৈতিহাসিক বৈকি !
•
কিন্তু সম্মেতশিখর যত প্রাচীন, সম্মেতশিখরের মন্দির তত প্রাচীন নয়। সম্মেতশিখরের কথা অনেক কালই মানুষ ভুলে গিয়েছিল, যেমন ভুলে গিয়েছিল কোথায় বৃন্দাবন ছিল, কি অযোধ্যা ৷ বৃন্দাবনকে মাধবেন্দ্র পুরী আবিষ্কার করেছিলেন, অযোধ্যাকে রাজা বিক্রমাদিত্য। এমনি পরবর্তীকালে সম্মেত শিখরকেও আবিষ্কার করতে হয়েছে, শাস্ত্র-লক্ষণ মিলিয়ে মিলিয়ে। মন্দির উঠেছে তারও পরে। যে পথে পার্শ্ব নাথের মন্দিরে যেতে হয় সে পথ তৈরী হয়েছে মাত্র ১৮৭৪ সালে। তাই তার আগে তীর্থযাত্রীরা এখানে বেশী আসতেনই না, সাধু ও শ্রমণ ছাড়া। প্রাচীন ধ্বংসাবশেষে রাজগৃহকে তাই যত প্রাচীন মনে হয়, সম্মেতশিখরকে তত প্রাচীন মনে হয় না ৷
কিন্তু তা না হলেও ভারী মনোরম সম্মেতশিখরের পরিবেশ এখানে তপোবনের আবহাওয়া, দিব্যচেতনার অনুরণন। সেই অনুরণন এখানে এলেই অনুভব করা যায়।
সম্মেতশিখরে আসবার দু'টী পথ রয়েছে। একটা নিমিয়াঘাটের
Jain Education International
For Personal & Private Use Only
www.jainelibrary.org