________________
পূর্বাশ্রম
দেখলেন দেবানন্দার মুখে সেদিন হতে যে দিব্যকাস্তি উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল সেই কাস্তি আজ সহসাই যেন কোথায় অন্তর্হিত হয়ে গেছে। এ দেবানন্দ৷ সেই দেবানন্দা নয়, পূর্বের দেবানন্দা ।
ঋষভদত্তের বুক থেকে গভীব দীর্ঘনিশ্বাস উঠে এসেছিল। কিন্তু দেবানন্দার মুখের দিকে চেয়ে সেই দীর্ঘনিশ্বাস তিনি নিজের মধ্যেই চেপে গেলেন । তারপর নিজের হাতে কাপড়ের খুঁট দিয়ে দেবানন্দার চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বললেন, দেবানন্দা, এমন আমাদের কি ভাগ্য যে সর্বজ্ঞ আমাদের ঘরে আসবেন। তবু তিনি যে আসছেন আমাদের সময়ে আমাদের এই পৃথিবীতে সেজন্য আনন্দ কর। তিনি যে অমৃত দেবেন জনে জনে সে অমৃত হতে আমরাও বঞ্চিত হব না ।
তারপর অনেককাল পরের কথা। জ্ঞাতপুত্র সেদিন এসেছেন ব্রাহ্মণ-কুগুপুরে । সর্বজ্ঞ হবার পর সেই তাঁর প্রথম সেখানে আসা । তাঁকে দেখবার জন্য, তাঁর কথা শুনবার জন্য দলে দলে মানুষ এসেছে । বর্ধমানকে দেখা মাত্র দেবানন্দার বুকের কাপড় স্তনদুগ্ধে ভিজে উঠেছে। চোখ দিয়ে আনন্দাশ্রু উদ্গত হয়ে কপোল বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে দেবানন্দার সেই স্থিতি, সেই ভাবান্তর চোখে পড়েছে আর্য ইন্দ্রভূতি গৌতমের 1 সে নিয়ে তাই তিনি প্রশ্ন করলেন, ভদন্ত, আর্যা দেবানন্দার এই ভাবান্তরের কারণ কি ?
সেই প্রশ্ন শুনে দেবানন্দার দিকে সুস্মিত দৃষ্টি প্রসারিত করে বললেন বর্ধমান, দেবানন্দা আমার মা। দেবানন্দার গর্ভেই আমি প্রথম এসেছিলাম । তারপর—
তারপর সেই যেদিন প্রণত নামক স্বর্গ হতে চ্যুত হয়ে সে দেবানন্দার গর্ভে প্রথম প্রবেশ করল, যেদিন আকাশে মাটিতে সর্বত্র একটা আনন্দের কলরোল ছড়িয়ে পড়ল সেদিন সৌধর্ম দেবলোকেও ইন্দ্রের আসন একটুখানি নড়ে উঠল। তার কারণ অনুসন্ধান করতে