________________
যা হয়েছে তাই ন্যায়
যা হয়েছে তাই ন্যায়
বিশ্বের বিশালতা, শব্দাতীত .... সব শাস্ত্রে যা বর্ণনা করা হয়েছে, জগৎ সেটুকুই নয়। শাস্ত্রে তাে কিছুটা অংশই আছে। বাকী জগৎ তাে অবক্তব্য আর অবর্ণনীয়, যা শব্দতে ধরা যায় এমন নয়। তাহলে শব্দের বাইরে তুমি একে কি করে বলবে ? শব্দতে না ধরা গেলে শব্দের বাইরে তার বর্ণনা কি করে সম্ভব ? জগৎ এত বড়, বিশাল আর আমি একে দেখে বসে আছি। এইজন্যে আমি তােমাকে বলতে পারি এর বিশালতা কত !
প্রকৃতি তাে সবসময় ন্যায়ী-ই হয় প্রকৃতির যে ন্যায় তাতে একটি ক্ষণের জন্যেও অন্যায় হয়নি। এই প্রকৃতি এক মুহূর্তের জন্যেও অন্যায়ী হয় না। কোর্টে অন্যায় হতে পারে কিন্তু প্রকৃতিতে কখনও অন্যায় হয়-ই নি। প্রকৃতির ন্যায় এরকম যে যদি তুমি ভালাে মানুষ হও আর যদি আজকে চুরি করতে যাও তাে তােমাকে প্রথমে ধরিয়ে দেবে, আর খারাপ লােক হলে তাকে প্রথমে এনকারেজ (উৎসাহিত) করবে। প্রকৃতির এরকম হিসাব যে প্রথম জনকে ভালাে রাখার জন্যে তাকে ধরিয়ে দেবে, ওকে হেল্প করবে না। অন্যজনকে হেল্প করতেই থাকবে আর পরে এমন মার মারবে যে ও আর উপরে উঠতে পারবে না। অধােগতিতে যাবে। প্রকৃতি এক মিনিটের জন্যেও অন্যায়ী হয়নি। লােকে আমাকে প্রশ্ন করে আপনার পায়ে যে ফ্র্যাকচার হয়েছে, | সেটা ? এ সমস্ত ন্যায়-ই করেছে প্রকৃতি।
যদি প্রকৃতির ন্যায়কে বােঝাে যে, যা হয়েছে তাই ন্যায়, তাহলে তুমি জগৎ থেকে মুক্ত হতে পারবে কিন্তু যদি তুমি প্রকৃতিকে বিন্দুমাত্রও অন্যায়ী বলে মনে করাে তাহলে তা তােমার জন্যে জগতে সমস্যার কারণ হবে। প্রকৃতিকে ন্যায়ী মনে করা, তাকেই জ্ঞান বলে। যেমনটি তেমন জানা, তা-ই জ্ঞান আর ‘যেমনটি তেমন না জানা, তা-ই অজ্ঞান।