________________
যা হয়েছে তাই ন্যায়
চাই, না ? ওর সামনের পাল্লাতে ব্যালান্স তাে চাই-ই! আমার বুদ্ধি নিঃশেষ হয়ে গেছে, সেইজন্য জ্বালাও শেষ হয়ে গেছে।
বিকল্পের অন্ত, সেটাই মােক্ষমার্গ
অতএব যা হয়েছে তাকে ন্যায় বললে তবে নির্বিকল্প থাকবে আর লােক নির্বিকল্পী হওয়ার জন্যে ন্যায় খুঁজতে বেরিয়েছে। বিকল্পের অন্ত হলে সেটাই মােক্ষের রাস্তা ! বিকল্প না হয়, আমাদের মার্গ এরকম নয় কি ?
পরিশ্রম না করে আমাদের অক্ৰমমার্গে মানুষ এগিয়ে যেতে পারে। আমার চাবিগুলােই এমন যে পরিশ্রম না করেই এগিয়ে যায়।
এখন বুদ্ধি যখন বিকল্প দেখাতে চায়, তখন বলে দেবে, যা হয়েছে। তাই ন্যায়’। বুদ্ধি ন্যায় খোঁজে যে আমার থেকে ছােটো কিন্তু মর্যাদা দেয় না। মর্যাদা দেয়, সেটাও ন্যায় আবার দেয় না, সেটাও ন্যায়। বুদ্ধি যত নির্বিবাদ হবে, ততাে নির্বিকল্প হবে!
| এই বিজ্ঞান কি বলছে ? ন্যায় তাে পুরােজগৎ খুঁজছে। তার বদলে আমিই মেনে নিই যে যা হয়েছে তাই ন্যায়। তাহলে আর জজ-ও চাই
আর উকিল-ও চাই না। নয়তাে শেষে মার খেয়েও এইরকমই রয়ে যায় না ?
কোন কোর্টে সন্তোষ পাওয়া যায় না।
আর কদাচিৎ কখনও যদি এরকম ধরেও নাও যে কোন ব্যক্তির ন্যায় চাই তাে নীচু কোর্ট থেকে জাজমেন্ট করালাে। উকিল মামলা লড়লাে, পরে জাজমেন্ট এলাে, ন্যায় হলাে। তখন বলে, “না, এই ন্যায়ে আমি সন্তুষ্ট নই। ন্যায় হলাে তবু সন্তোষ নেই। তাে এখন কি করবে ? উপরের কোর্টে চলাে। তাে জেলা আদালতে গেল। ওখানকার জাজমেন্টেও সন্তোষ হলাে না। এখন তাহলে কি ? ‘না, ওখানে হাইকোর্টে যাব।