________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
কারণে এই আরােপ-প্রত্যারােপ চলছে ।
প্রশ্নকর্তা : এ তাে প্রকৃতিকে একেবারে উল্টো-পাল্টা করে দেয় আর তাতে এর ভিতরে খুব সাফোকেশন হতে থাকে ।
| দাদাশ্রী : আরে, এতদূর পর্যন্ত হয় যে পাঁচ-পাঁচ দিন কিছুই খায় না। আরে, দোষ কার আর কাকে মারছে ? পেটকে কেন মারছাে ?! দোষ মনের আর মারছে পেটকে। বলে, তুমি খাবে না। তাে এতে দেহ বেচারা কি করবে ?! বেচারার শক্তি চলে যাবে। যদি ও খায় তাে অন্য কিছু কাজ করতে পারবে। সেইজন্যে আমাদের লােকেরা বলে যে, “মােষের দোষের দন্ড ভিস্তীকে কেন দিচ্ছ ? দোষ মােষের (মনের) , এই ভিস্তী (দেহ) বেচারার কি দোষ ?!
বাইরে ঝাড়াঝাড়ি করে লাভ কি ? যা তােমার সত্ত্বাতে নেই তার জন্য অনর্থক চেঁচামেচি করার মানে কি ? কিন্তু ভিতরের সমস্ত ময়লা জ্বালাতে হয় , ভিতরের সব কিছু ধুয়ে ফেলতে হয়। এ তাে বাইরেটা পােয় ; গঙ্গাতে গিয়ে দেহকেই বারবার। ডােবাতে থাকে। আরে, দেহকে ডুবিয়ে কি সিদ্ধ হবে ?! মনকে ভােবাও না ! মনকে, বুদ্ধিকে, চিত্তকে, অহংকারকে - এই পুরাে অন্তঃকরণকে ডােবাতে হবে। এ তাে কোনােদিন সাবানও দেয় নি ; তাে এ নষ্ট হবে কি হবে না ?
যতদিন ছােট থাকে ততদিন ভাল থাকে। পরে দিন-প্রতিদিন ময়লা জমা হতে থাকে আর নষ্ট হতে থাকে। সেইজন্যে আমি বলেছি যে তােমার আচার-ব্যবহার (এখানে) রাখতে থাকো আর এই নয় কলম নিতে থাকো। এ সবই মিথ্যে , তাকে বাইরে রাখতে থাকো আর এই নয় কলমের ভাবনা ভাবতে থাকো, তাহলে আগামী জন্ম ভালাে হয়ে যাবে ।
| প্রশ্নকর্তা : এই ‘জ্ঞান’ যারা নেয় নি সেই সব লােকেরাও কি এইভাবে আচার । বদলাতে পারে ?
দাদাশ্রী : হঁ্যা, সবাই করতে পারে। সবার-ই এটা বলার অনুমতি আছে।