________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
মান্যতাকে আঘত না দেওয়া বলে। ক্রীশ্চান মান্যতা , মুসলিম মান্যতা , কোনাে ধর্মেরই মান্যতাকে আঘাত দেওয়া উচিত নয়। কারণ সবাই একসময় 360 ডিগ্রীর মধ্যে চলে আসবে। রিয়্যাল ইজ দ্য সেন্টার অ্যান্ড অল দীজ, আর রিলেটিভ ভিউজ (মধ্যবিন্দুই। সত্যি আর বাকি সব সাপেক্ষ দৃষ্টিকোণ)। সেন্টারে যারা আছে তাদের জন্যে রিলেটিভ ভিউ সবই সমান। ভগবানের স্যাদ্বাদ মানে কারাের কিঞ্চিৎমাত্রও দুঃখ না হয় ; তা সে যে ধর্মই হােক না কেন !
অর্থাৎ স্যাদ্বা মার্গ এরকমই হয়। প্রত্যেকের ধর্মকে স্বীকার করতে হবে। সামনের ব্যক্তি দুই ঘুষি মারলেও তা তােমাকে স্বীকার করতে হবে কারণ সম্পূর্ণ জগৎ নির্দোষ। দোষী যে দেখাচ্ছে তা তােমার দোষের কারণে দেখাচ্ছে। বাস্তবে জগৎ দোষী নয়-ই। কিন্তু তােমার বুদ্ধি দেখাচ্ছে যে এ ভুল করলাে ।
অবর্ণবাদ , অপরাধ , অবিনয় ..
| প্রশ্নকর্তা : ৩. হে দাদা ভগবান ! আমাকে কোনাে দেহধারী উপদেশক, সাধু-সাধী বা আচার্যর অবর্ণবাদ, অপরাধ, অবিনয় না করার পরম শক্তি দিন। এর মধ্যে যে অবর্ণবাদ শব্দ আছে তার যথার্থ মানে কি ?
দাদাশ্রী : যে কোনাে উপায়ে যেটা যেমন তাকে সেরকম না বলে উল্টো বলাকে অবর্ণবাদ বলে। যেমন আছে তেমন তাে বলেই না , তার উপর আবার উল্টো বলে। যেমনটি আছে ঠিক তেমনটি চিত্রণ করে আর ভুলকে ভুল এবং ঠিককে ঠিক বললে তাকে অবর্ণবাদ বলে না। কিন্তু সবই ভুল বললে তাকে অবর্ণবাদ বলে। যে কোনাে মানুষের মধ্যে কিছু ভাল তাে থাকে, না কি থাকে না ? আর কিছু খারাপও থাকে। কিন্তু যদি একে পুরােই খারাপ বলা হয় তাে তাকে অবর্ণবাদ বলে। এই ব্যাপারে একটু এরকম আর অন্য ব্যাপারে খুব ভালাে’ এরকম বলা উচিৎ।
অবর্ণবাদ অর্থাৎ তুমি কারাের সম্পর্কে জানাে যে তার কিছু গুণ আছে , তা । জানা সত্ত্বেও এর বিরুদ্ধে বলাে ; যে গুণ এর নেই তার সম্বন্ধে অনেক কিছু বলাে তাে তা সবই অবর্ণবাদ। বর্ণবাদ অর্থাৎ যা আছে সেটা বলা আর অবর্ণবাদ অর্থাৎ যা নেই