________________
সম্পাদকীয়
এই মন-বচন-কায়া পরের সুখের জন্য ব্যবহার করলে সংসারে নিজের সুখ কোনােদিন কম পড়বে না। আর নিজের স্বয়ং-এর, সেলএর রিয়েলাইজেশান করে তাে তার সনাতন সুখ প্রাপ্তি হয়। মনুষ্য-জীবনের ধ্যেয় এতটুকুই। এই ধ্যেয়-র পথ ধরে যে চলতে শুরু করে সে মনুষ্যজীবনেই জীবনমুক্ত দশা লাভ করে। এই জীবনে এর চেয়ে বেশী আর কিছু পাওয়ার বাকী থাকে না।
আমগাছ নিজের ফল কতগুলাে খায় ? এর ফল, পাতা, কাঠ সব অন্যেই ব্যবহার করে নাকি ? তার ফলে এউর্ধ্বগতি লাভ করে। ধর্মের শুরুই অবলাইজিং নেচার (পরােপকারী স্বভাব) থেকে হয়। অন্যকে কিছুমাত্র দিলে তখন থেকেই নিজের আনন্দ শুরু হয়।
পরমপুজ্য দাদাশ্রী একটি বাক্যেই বলেছেন, মা-বাবার সেবা যে সন্তান করে তার কখনাে অর্থের অভাব হয় না, আর প্রয়ােজনীয় সবকিছুই এসে যায়। আর আত্মসাক্ষাৎকারী গুরুর সেবা যে করে সে মােক্ষে যায়।
দাদাশ্রী সারাজীবন এই একটাই ধ্যেয় রেখেছিলেন যে আমার কাছে যে কেউ এসেছে সে যেন সুখী হয়। নিজের সুখের বিচার পৰ্য্যন্ত করেননি। সামনের ব্যক্তির কি অসুবিধা, কি করলে এর অসুবিধা দূর হয়, সেই ভাবনাই নিরন্তর করতেন। সেজন্যেই তাঁর মধ্যে করুণার প্রকাশ হয়েছিল। অদ্ভুত অধ্যাত্মবিজ্ঞান প্রকট হয়েছিল।
প্রস্তুত সংকলনে দাদাশ্রী সমস্ত দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনের ধ্যেয় সেবা-পরােপকার সহিত কি ভাবে সিদ্ধ করতে হবে তার বােধ সরলঅমােঘ দৃষ্টান্ত দ্বারা ফিট করিয়েছেন যা ধ্যেয়স্বরূপ আত্মসাৎ করে নিলে মনুষ্যজীবন সার্থক হলাে বলা যায়।
– ডাঃ নীরুবেহন অমিন -এর জয় সচ্চিদানন্দ