________________
আত্মজ্ঞান প্রাপ্তির প্রত্যক্ষ লিঙ্ক
‘আমি তাে কিছু লােককে নিজের হাতে সিদ্ধি প্রদান করে যাব। তারপরে অনুগামীর প্রয়ােজন আছে না নেই ? পরের লােকেদের রাস্তার প্রয়ােজন আছে কি না ?
– দাদাশ্রী
পরমপূজ্য দাদাশ্রী গ্রাম-শহরে, দেশ-বিদেশে পরিভ্রমণ করে মুমূক্ষুজনেদের সৎসঙ্গ আর আত্মজ্ঞান প্রাপ্তি করাতেন। দাদাশ্রী তাঁর জীবদ্দশাতেই পূজ্য ডাঃ নীরুবেহন অমিন (নীরুমা) -কে আত্মজ্ঞান প্রাপ্ত করানাের জ্ঞানসিদ্ধি প্রদান করেছিলেন। দাদাশ্রীর দেহত্যাগের পর নীরুমা একইভাবে মুমূক্ষুজনেদের সৎসঙ্গ আর আত্মজ্ঞান প্রাপ্তি নিমিত্তভাবে করাতেন। দাদাশ্রী পূজ্য দীপকভাই দেসাইকে সৎসঙ্গ করার সিদ্ধি প্রদান করেছিলেন। নীরুমার উপস্থিতিতেই তাঁর আশীর্বাদে পূজ্য দীপকভাই দেশ-বিদেশে অনেক জায়গায় গিয়ে মুমূক্ষুদের আত্মজ্ঞান করাতেন যা নীরুমা-র দেহবিলয়ের পর আজও চলছে। এই আত্মজ্ঞান প্রাপ্তির পর হাজার হাজার মুমূক্ষু সংসারে থেকে, সমস্ত দায়িত্ব পালন করেও আত্মরমণতার অনুভব নিয়ে থাকেন।
পুস্তকে মুদ্রিত বাণী মােক্ষলাভার্থীর পথপ্রদর্শক হিসাবে অত্যন্ত উপযােগী প্রমাণিত হবে, কিন্তু মােক্ষলাভ -এর জন্য আত্মজ্ঞান প্রাপ্ত হওয়া অপরিহার্য। অক্রম মার্গের দ্বারা আত্মজ্ঞান প্রাপ্তির পথ আজও উন্মুক্ত আছে। যেমন প্রজ্বলিত প্রদীপই শুধু পারে অন্য প্রদীপকে প্রজ্বলিত করতে, তেমনই প্রত্যক্ষ আত্মজ্ঞানীর কাছে আত্মজ্ঞান লাভ করলে তবেই নিজের আত্মা জাগৃত হতে পারে।