________________
সম্পাদকীয়
ক্রোধ একটি দুর্বলতা, কিন্তু লােক একে বাহাদুরি মনে করে। ক্রোধ যে করে তার চেয়ে যে ক্রোধ করে না তার প্রভাব কিছু অন্য রকমেরই হয়!
সাধারণতঃ যখন আমার ধারণা অনুযায়ী কিছু না হয়, আমার কথা অন্যজন বুঝতে না পারে, ডিফারেন্স অফ ভিউপয়েন্ট হয়, তখন ক্রোধ হয়ে যায়। প্রায় আমার সাথে হােলে তাে কেউ আমাদের কে মিথ্যা বললে ক্রোধ হয়ে যায়। কিন্তু আমি ঠিক, সেটা তাে আমার দৃষ্টিবিন্দু থেকে, নয় কি? অন্যজনও নিজের দৃষ্টিতে নিজেকে ঠিকই মনে করবে, তাই না? অনেক সময়ে বােধশক্তি কাজ করে না, সামনে কিছু দেখা না পেলে কি করা উচিত তা বােঝা যায় না। তখন ক্রোধ হয়ে যায়।
যখন অপমান হয় তখন ক্রোধ হয়ে যায়, যখন লােকসান হয় তখন ক্রোধ হয়ে যায়। এইভাবে মান-এর রক্ষণের জন্য, লােভের রক্ষণের জন্য ক্রোধ হয়ে যায়। সেখানে মান আর লােভ-এর দুর্বলতা থেকে মুক্ত হওয়ার জাগৃতিতে আসা জরুরী। চাকর চায়ের কাপ ভেঙে ফেললে তখন ক্রোধ হয়ে যায় কিন্তু জামাইয়ের হাতে ভাঙলে তখন ? সেখানে ক্রোধ কেমন করে কনট্রোলে থাকে! অর্থাৎ বিলীফএর উপরেই আধারিত, নয় কি?
| কেউ আমার লােকসান করে অথবা অপমান করে তাে তা আমারই কর্মের ফল, যে করেছে সে নিমিত্তমাত্র, এই বােধ ফিট হয়ে গেলে তবেই ক্রোধ যাবে।
যেখানে-যেখানে আর যখন যখন ক্রোধ আসে, তখন তখন তা টুকে নিতে হবে আর তার উপর জাগৃতি রাখতে হবে। আর আমার ক্রোধের কারণে যার দুঃখ হয়েছে তার প্রতিক্ৰমণ করতে হবে, পশ্চাতাপ করতে হবে এবং আর এরকম না করার দৃঢ় নিশ্চয় করতে হবে। কেননা যার উপর ক্রোধ হয়েছে তার দুঃখ হবে এবং বৈরীভাব উৎপন্ন হবে। তাতে সামনের জন্মে আবার তার সাথে মিলতে হবে।
[৩]