________________
ভেদজ্ঞান কষায় মুক্ত করে প্রশ্নকর্তা ও চার কয়কে জেতার জন্য কোন প্রাথমিক ভূমিকা তৈরী করা কি দরকার? যদি দরকার তাে তার জন্যে কি করতে হবে?
দাদাশ্রীঃ কি জান, যদি ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ এই চারটি চলে যায় তাে সে ভগবান হয়ে যায়!
ভগবান তাে বলেছেন, তােমার ক্রোধ এমন যে তােমার নিজের মামার সাথে যদি ক্রোধ করাে তাে ওর মন তােমার থেকে আলাদা হয়ে যায়, সারা জীবনের জন্যে আলাদা হয়ে যায়, তাহলে তােমার ক্রোধ করা ভুল। যে ক্রোধ কারাের মনকে এক-দু বছরের জন্যে আলাদা (মনকে ভেঙে দেয়) করে দেয় আর পরে আবার একতা ফিরে আসে, তাকে অ-প্রত্যাখানী ক্রোধ বলে। যা। মনকে একেবারে ভেঙে দেয় তাকে অন্তিমপর্যায়ের ইউজলেস ক্রোধ বলে। একে অনন্তানুবন্ধী ক্রোধ-ও বলা হয়। আর লােভ-ও এইরকমই, তারপর মান, এরা সমস্ত এত শক্তিশালী যে এদের যাওয়ার পরেই মানুষ সঠিক রাস্তায় আসে আর গুণস্থান প্রাপ্ত করে, নয়তাে গুণস্থানেই আসে না। ক্রোধ-মান-মায়ালােভ এই চার যার জন্যে অনন্তবার জম নিতে হয়। কষায় দূর হয় তাে তাহলেও অনেক হল।
এখন যখন ‘জিন’-এর কথা শুনবে, তখন এরা যাবে। জিন’ মানে আত্মজ্ঞানী, তিনি যে কোন ধর্মের আত্মজ্ঞানী হতে পারেন, বেদান্তের হতে পারেন, জৈন হতে পারেন, কিন্তু আত্মজ্ঞানী হওয়া চাই। তার উপদেশ শুনলে শ্রাবক হয়। আর শ্রাবক হয়ে গেলে তার অনন্তানুবন্ধী কয় চলে যায়। তখন স্বয়ংই কর্ম উঠে আর শেষ হতে থাকে।
আর দ্বিতীয় উপায় এই যে আমি ওকে ভেদজ্ঞান করিয়ে দিই। তখন সমস্ত কষায় চলে যায়, শেষ হয়ে যায়। এটা এই কালের আশ্চর্য। এইজন্যেই ‘অক্রম বিজ্ঞান বলেছে!
– জয় সচ্চিদানন্দ
[ ৩৫ ]