________________
| এই সাধু নস্যি নেন আর আমি বলি, ‘সাহেব, আপনি নস্যি নেন ? তখন যদি বলে, নস্যি নিতে কোন বাধা নেই। তাহলে বেড়ে যাবে। এই চার, ক্রোধমান-মায়া-লােভ-এর মধ্যে কোন একজনের উপর প্রেম বেশী, সে প্রথম নম্বরে, দ্বিতীয়ের উপর তার থেকে কম হয়। এই ভাবে যার প্রতি পক্ষপাত বেশী, তার প্রতি ভালবাসাও বেশী।
স্কুল কর্ম ও সূক্ষ্ম কর্ম। স্থূল কর্ম মানে কি, তা বুঝে নাও। তুমি একদম রেগে গেলে, তুমি ক্রোধ করতে চাইছ না তবুও হয়ে গেল, এরকম হয় না কি হয় না ?
প্রশ্নকর্তা ও হয়।।
দাদাশ্রীঃ এই যে ক্রোধ হল তার ফল এখানেই সাথে সাথে পেয়ে যাবে। | লােকেরা বলে, “ওর কথা বাদ দাও, ও তাে খুব-ই ক্রোধী। কেউ হয়তাে ওকে সামনে এসে থাপ্পড়ও মেরে দেবে। মানে বদনাম হওয়া সে রকম পেয়ে যাবে। অর্থাৎ ক্রোধ হওয়া, তা স্কুল-কর্ম। আর ক্রোধ হলে তার পিছনে তােমার আজকের ভাব কি, ক্রোধ করাই দরকার। তাহলে সেটা সামনের জন্মের ক্রোধের হিসাব হল। তােমার আজকের ভাব যদি এই হয় যে ক্রোধ করা উচিৎ নয়, তুমি মনে সংকল্প করেছাে যে ক্রোধ করবেই না, তারপরেও যদি হয়ে যায় তাে সামনের জন্মের জন্যে তােমার কোন বন্ধন (কর্ম) হবে না। এই স্থূল কর্মতে তােমার ক্রোধ হয়ে গেলে এই জন্ম তােমাকে মার খেতে হবে। তবুও সামনের জন্মের জন্যে তােমার বন্ধন থাকবে না, কারণ সূক্ষ্ম কর্মতে তােমার সংকল্প আছে যে ক্রোধ করাই উচিৎ নয়। আর আজ যদি কোন ব্যক্তি কারাের উপর ক্রোধ না করে কিন্তু মনে ভাবে যে, এদের উপর ক্রোধ করলে তবেই এরা সােজা হবে, এইরকমই লােক এরা। তাহলে এর ফলে সামনের জন্মে আবার ক্রোধ হবে! অর্থাৎ বাইরে যে ক্রোধ হচ্ছে তা স্কুল কর্ম। আর | সেইসময় ভিতরে যে ভাব হয় তা সূক্ষ্ম কর্ম। যদি এটা বুঝে নিতে পারি তাহলে স্কুল কর্ম... থেকে একদম-ই বন্ধন উৎপন্ন হয় না। এইজন্য আমি এই নতুন ধরনের সায়েন্স (বিজ্ঞান) দিয়েছি। এতদিন পর্যন্ত স্কুল কর্ম থেকে বন্ধন হয়’ এইরকম লােকেদের মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে সেইজন্যে লােকে ভয় পায়।
[ ৩৪ ]