________________
ও তো ‘মেকানিক্যাল অ্যান্ড্লামেন্ট্' (যান্ত্রিক সামঞ্জস্যতা) ক্রোধ করছে। এই কারণে ফের নিজের মনে পশ্চাতাপ হয় যে এই ক্রোধ না করলেই ভাল হতো।
প্রশ্নকর্তা ঃ ওকে শান্ত করার কি উপায় ?
দাদাশ্রী : ও তো যদি মেশিন গরম হয়ে যায় আর ঠান্ডা করতে হয় তো কিছুক্ষণ বন্ধ রাখলে নিজেই ঠান্ডা হয়ে যাবে। আর যদি হাত দিই বা ঘাঁটাতে যাই তো নিজেই জ্বলে যাব।
প্রশ্নকর্তা : আমার আর আমার হাজব্যান্ড-এর মধ্যে ক্রোধ আর তর্কবিতর্ক হয়ে যায়। তো আমি কি করব?
দাদাশ্রী : ক্রোধ তুমি কারো কি ও করে, কে ক্রোধ করে?
প্রশ্নকর্তা ঃ ও, ফের আমারও হয়ে যায়।
দাদাশ্রী : তো তুমি নিজেই নিজেকে ভর্ৎসনা করবে, ‘কেন তুমি এরকম করছো? আগে যা করেছো তা তো ভুগতেই হবে, না!” কিন্তু প্রতিক্রমণ করলে এই সমস্ত দোষ কেটে যায়। নয়তো আমার দেওয়া ঘুসি ফের আমাকেই ভুগতে হবে। কিন্তু প্রতিক্রমণ করলে কিছুটা কম হয়ে যায়।
তো এক ধরনের পাশবতা (পশুতা)
প্রশ্নকর্তা : আমার যদি ক্রোধ হয়ে যায় আর গালি-গালাজ বেরিয়ে পড়ে তো কি করে শুধরাবো?
দাদাশ্রী ঃ ক্রোধ যে করে আর গালাগালি দেয় তার নিজের উপর নিয়ন্ত্রন নেই। সেইজন্যে এসব হয়ে যায়। কনট্রোল করার জন্যে প্রথমে কিছু বোঝার দরকার আছে। যদি আমার উপর কেউ ক্রোধ করে তো তা আমার সহ্য হবে কি হবে না তা আমার ভাবা দরকার। আমি ক্রোধ করার আগে যদি আমার উপর কেউ ক্রোধ করে তো আমার সহ্য হবে কি? ভালো লাগবে কি লাগবে না? আমার যা ভালো লাগে সেইরকম ব্যবহারই অন্যের সাথে করা উচিৎ।
কেউ তোমাকে গালাগালি দেয় আর তোমার খারাপ না লাগে, ডিপ্রেসান না হয় তো তুমিও দেবে। নয়তো বন্ধ করে দেবে। গালাগালি তো দেওয়াই [ 23 ]