________________
এ খুব সূক্ষ্ম কথা যা লােকেরা পায় নি। সবকিছুরই উপায় তাে থাকেই, তাই না? উপায় বিনা তাে সংসার হয়ই না! সংসার তাে পরিণামকেই শেষ করতে চায়। অর্থাৎ ক্রোধ-মান-মায়া-লােভ-এর উপায় এই যে পরিণামের কিছুই কর না, তার কারণেকে নষ্ট করে দাও তাে সব পরিণাম চলে যাবে। মানে নিজেকেই বিচারক হতে হবে। নয়তাে যদি অজাগৃত থাকো তাে উপায় কি ভাবে করবে?
প্রশ্নকর্তা ও কারণগুলােকে-কে কি করে নষ্ট করতে হবে তা আবার একটু বুঝিয়ে দিন।
দাদাশ্রী ও এই ভাইয়ের উপর যদি আমার ক্রোধ হয় তাে তাহলে আমি বুঝব যে এর উপর যে ক্রোধ হচ্ছে তা পরিণাম-স্বরূপ, আমি আগে ওর দোষ দেখেছিলাম এটা তার পরিণাম। এখন ও যা যা দোষ করবে তা যদি আমি মনে না রাখি তাে ওনার প্রতি যে ক্রোধ আছে তা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু পূর্বের পরিণাম কিছু থাকবে, সেটুকুই আসবে, তার পরে বন্ধ হয়ে যাবে।।
প্রশ্নকর্তা : অন্যের দোষ দেখি সেইজন্যে ক্রোধ হয় ? | দাদাশ্রী ঃ হ্যা। এই যে দোষ দেখাে, বুঝে নেবে যে-এসবও ভুল পরিণাম। যখন এই ভুল পরিণাম দেখা বন্ধ হয়ে যাবে তারপরে ক্রোধ । বন্ধ হয়ে যাবে। তােমার দোষ দেখা বন্ধ হয়ে গেল, অর্থাৎ সমস্তই বন্ধ হয়ে গেল।
ক্রোধের মূলে আছে অহংকার লােকজন প্রশ্ন করে, আমার এই ক্রোধের চিকিৎসা কি?” আমি বলি, ‘এখন তুমি কি করাে? তখন বলে, ক্রোধকে চেপে রাখি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “চিনে নিয়ে চেপে রাখাে নাকি না চিনেই? ক্রোধকে চিনতে তাে হবে? ক্রোধ আর শান্তি দুজনে একসাথেই থাকে। ক্রোধকে না চিনে শান্তিকে চেপে দিলে তাে শান্তি মারা যাবে! অতএব চেপে রাখার মত বস্তু নয়। তখন ও বুঝতে পারল ক্রোধ অহংকারের রূপ। এখন কোন
[১৮]