________________
কেশীগগৗতমীয়
৪১৩ গৌতম এই উভয় প্রকার ধর্মে আপনার সন্দেহ হয় না কেন? ( উভয়েই সর্বজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও এই মতভেদের কারণ কি ?) ॥২৩২৪
তও কেসিং বুবংতং তু, গােয়মমা ইণমব্ববী।
পদ্মা সমিখএ ধম্মং, তং তত্তবিণিচ্ছয়ং |২৫|| তও (তৎপরে) কেসিং বুবংতং তু (কেশীকুমার এইরূপ বলিলে ) গােয়মমা (গৌতম ) ইণমব্বৰী (এইরূপ বলিলেন) তত্তবিণিচ্ছয়ং (তত্ত্ববিনিশ্চয় = যাহাতে জীবাদি তত্ত্বের নিশ্চিতরূপে নিরূপণ হয় এইরূপ) ধম্মং তত্তং (ধর্মতত্ত্ব) পদ্মা (প্রজ্ঞাই =বুদ্ধিই) সমিখএ (সমীক্ষতে= সম্যক্ রূপে অবলােকন করে, সম্যক রূপে অবধারণ করে ) ॥২৫। | তৎপরে কেশীকুমার এইরূপ বলিলে গৌতম বলিলেন ‘যাহাতে জীবাদিতত্ত্ব নিশ্চিতরূপে নিরূপিত হয় এইরূপ ধর্মতত্ত্ব প্রজ্ঞার দ্বারাই সম্যক্ রূপে অবধারণ করা যায়’ ॥২৫||
পুরিমা উজ্জ্বজড়া উ, বজড়ায় পচ্ছিমা।
মজ্জিম উজ্জপদ্মা উ, তেণ ধম্মে দুহা কএ |২৬|| উ (যেহেতু) পুরিমা (পূর্বের=প্রথম তীর্থঙ্করের সময়ের সাধুগণ ) উজ্জ্বজড়া ঋজুজড় =সরল ও মন্দবুদ্ধি (ছিল) য় (ও) পচ্ছিমা (পশ্চিমের = পশ্চিম অর্থাৎ সর্বশেষের তীর্থঙ্করের সময়ের সাধুগণ) বজড়া (বক্ৰজড়=বক্র অর্থাৎ কপট ও জড় অর্থাৎ মন্দবুদ্ধি ) উ (এবং) মজ্জিমা (মধ্যমের প্রথম ও শেষ তীর্থঙ্করের মধ্যবর্তী দ্বাবিংশ তীর্থঙ্করের সময়ের সাধুগণ ) উজ্জ্বপন্না (ঋজুপ্রজ্ঞ = সরল ও প্রাজ্ঞ ) ( ছিলেন) তেণ ( তজ্জন্য ) ধম্মে (ধর্ম) দুহা (দ্বিধা = দুইপ্রকারের) ক (কৃত=করা হইয়াছে ) |২৬||
হে কেশীকুমার, যেহেতু প্রথম তীর্থঙ্করের সময়ের সাধুগণ সরল ও অল্পবুদ্ধি এবং শেষ তীর্থঙ্করের সাধুগণ কুটিল ও মন্দবুদ্ধি ছিল। আর মধ্যবর্তী দ্বাবিংশ তীর্থঙ্করের সময়ের সাধুগণ সরল ও প্রাজ্ঞ তজ্জন্য ধর্ম দুই প্রকারের করা হইয়াছে (প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভদেবের সময়ের সাধুগণ সরল প্রকৃতি বিশিষ্ট
১। “তত্ত্বানাং জীবাদীনাং বিনিশ্চয়াে যস্মিংস্তৎ” টীকা ২। ২। “উজ্জ্বজভড়া’ টীকা ৩। ৩। বজডডা টীকা ৩।